প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ এপ্রিল, ২০১৮

ব্যাংকার থেকে ‘ড্রাগন’

রিচার্ড হার্নান্ডেজের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের মারিকোপায়। পুরুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীকালে তিনি লিঙ্গ বদলে ফেলেন। সেই সঙ্গে নাম পাল্টে রাখেন তিয়ামত বাফোমেট মেডুসা। ১৯৯৭ সালে রিচার্ড আমেরিকার একটি জনপ্রিয় ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সে বছরই তার এইচআইভি ধরা পড়ে। আর সঙ্গে জীবনের প্রতি রিচার্ডের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে যায়। লোভনীয় এই চাকরি ছেড়ে দেন। সাধারণ মানুষ হিসেবে মারা যেতে চাননি তিনি। চেয়েছিলেন অন্য কোনো প্রাণীর বেশে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে। এ জন্যই ৫৫ বছরের রিচার্ড একাধিক যন্ত্রণাদায়ক অস্ত্রোপচার করিয়ে প্রথমে নারী হন এবং পরে ড্রাগনের রূপ নেন। দ্য ডেইলি মেইল গতকাল রোববার এ কথা জানায়।

২০১২ সালে তিনি নাক এবং কানের অস্ত্রোপচার করান। শরীরেও অনেকগুলো কসমেটিক সার্জারি করান। মুখে এবং শরীরে স্থায়ী ট্যাটু করান; যাতে দেখতে অনেকটা ড্রাগনের চামড়ার মতো লাগে। দাঁত তুলে ফেলেন। আর মাথায় ড্রাগনের শিংয়ের মতো আটটি শিং বানান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। আর সবচেয়ে আশ্চর্য, ড্রাগন হওয়ার জন্য তিনি নিজের জিভ চিরে সরীসৃপের মতো করে নেন। চোখের ভেতরের সাদা অংশ রং করিয়ে সবুজ করে নেন। এসব অস্ত্রোপচারে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। মানুষ নন, মেডুসা নিজেকে ‘ট্রান্স স্পিসিস’ মনে করেন। নিজের পরিচয় দেন ‘ড্রাগন লেডি’ হিসাবে। তার বিশ্বাস, যারা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, এই পদক্ষেপ নাকি তাদের বেঁচে থাকার নতুন আশা দেখাবে।

ছোটবেলাটাও খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না তার। ‘দ্য উইজার্ড অফ অড’ নামে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের শৈশবের কথা শেয়ার করেন তিনি। তিনি জানান, মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মা এবং সৎ বাবা তাকে ফেলে চলে যান। তিনি দুটো ডায়মন্ড র‌্যাটেল সাপকে নিজের মা-বাবা হিসাবে মানতে শুরু করেন। মেডুসার দাবি, ওই সাপ দুটোর সঙ্গেই শৈশবের অনেকগুলো বছরও কাটান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist