নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সংশোধনের দাবি
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন করে সহজীকরণ না হলে, রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার ঘোষণা করেন ‘অনিবন্ধিত রাজনৈতিক’ দলের নেতারা।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০-বি ধারা সংশোধন করে শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রদান ও নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সারা বছর চালু রাখার দাবীতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন সংক্রান্ত যে আইনটি ২০০৮ সালে তৎকালিন তত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক প্রণয়ন করা হয় তা সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানকি ও অগণতান্ত্রিক। বিশ্বের কোথাও এ ধরণের আইন নেই।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত প্রভৃতি দেশের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে শুধু কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কেন্দ্রীয় কমিটি ও গঠনতন্ত্র থাকলে যে কোন সময় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য অফিসসহ ১২৩টি কমিটি ও ২০ হাজার সদস্য থাকার শর্ত জুড়ে আইন করা হয়েছে যা ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করা হয়। ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে আইনটি করা হয়েছে যা অনতিবিলম্বে সংশোধনের দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
অনিবন্ধিত দলসমুহের সমন্বয়ে গঠিত ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন আন্দোলন’ আগামী ২৭ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনে এবং ঈদের পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে সংগঠনটি।
‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন আন্দোলন’-এর প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর চেয়ারম্যান এ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও কীনোট পেপার উপস্থাপন করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন বিএনএ জোটের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ লিবারাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ ও বাংলাদেশ ডেমোক্রেটি পার্টির চেয়ারম্যান সামসুল আলম চৌধুরী (সুরমা), বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলনের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, তৃণমূল জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ নাজিম উদ্দিন। এছাড়াও বি.এন এ জোট (নাজমূল হুদা ৩১ দলীয় জোট) এর নেতৃবৃন্দ,জাতীয় ইসলামী জোট ও জাতীয় ইসলামী মহাজোটের (হোসাইন মো: এরাশাদ ৫৮ দলের ৩৪ দল) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক সহ জোটের নেতৃবৃন্দ, বি.এন এ জোটের (হোসাইন মো: এরাশাদ ৫৮ দলের ২২ দল সিকান্দার আলী মনি) এর নেতৃবৃন্দ, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এন.ডি.এফ ৯ দলীয় জোট) এর নেতৃবৃন্দ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার, বাংলাদেশ জাগো বাঙ্গালীর চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডাঃ শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির (ডিএনপি) চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামিম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, গণতান্ত্রিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ভাসানী) চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, গণ অধিকার দলের (পিআরপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন মোল্লা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এর চেয়ারম্যান এআরএম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট-এর চেয়ারম্যান মোঃ আবু আহাদ আল মামুন (দিপু মীর), বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান শামসুল হুদা মামুন, বাংলাদেশ গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ মনসুর আহমেদ, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ জিয়া, বাংলাদেশ সামাজিক সাংষ্কৃতিক পার্টির চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মোঃ জহিরুল হক বশির, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টির চেয়ারপার্সন আফরোজা বেগম হ্যাপী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন-এর চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির (বিআরপি) চেয়ারম্যান মুফাসসির বাজলুর রহমান আমিনী, হিজবুুল কোরআন-এর আমীর এটিএম ওয়ালীউল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ-এর চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর রশিদ, বাংলাদেশ গণ-আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলামসহ শতাধিক অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
পিডিএসও/রানা