‘হতবাক, বাকরুদ্ধ’ হেফাজত আমীর
আল্লামা শফীর গোসসা...
দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে ভাস্কর্যটি অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করায় হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমেদ শফী আবরও গোস্সা করেছেন। গতকাল রাতে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে ভাস্কর্যটি অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। জানা যায়, ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে পরিচিত গ্রীক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি সরিয়ে পেছনের দিকে পুনঃস্থাপনের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আল্লামা আহমেদ শফী।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমীর বলেন, আমরা বিস্মিত, হতবাক এবং বাকরুদ্ধ। তিনি বলেন, রমজানের আগেই কোনো সংঘাত ছাড়াই থেমিস অপসারণে ভেবেছিলাম শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে... কিন্তু রমজানের প্রথম রাতে রাতে থেমিসকে পুনঃস্থাপন করে জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগের সাথে তামাশা করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেমিসের ভাস্কর্যটি সরানো নিয়ে হেফাজতের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেটি সরিয়ে নেয়া হয়। সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি ইসলামী দল। শনিবার গভীর রাতে কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে অ্যানেক্স ভবনের সামনে ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের খবরে ক্ষুব্ধ হয়েছে হেফাজত।
আল্লামা শফী বলেন, থেমিসের প্রতীককে চিরতরে পরিত্যাগ করতে হবে। থেমিস সুপ্রিম কোর্টের সামনে থাকবে, নাকি পিছনে থাকবে, এটা কোনো ইস্যু কখনো ছিলোনা... ইস্যু ছিলো থেমিস থাকবে কি থাকবে না। এখানে মধ্যপন্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই।
হেফাজত নেতা বলেন, ইসলামে 'ইনসাফ বা ন্যায়ের ধারণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। সেই ন্যায়ের বা ইনসাফের কোনো প্রতীকায়ন যদি গ্রীক ঐতিহ্য থেকে ধার করা হয়, তবে প্রকারন্তরে এটাই ধরে নেয়া হয় যে, আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যে ও ধর্মে ন্যায়ের কোন ধারণা বা অবস্থান ছিল না। এটা উপনিবেশিক ভাবাদর্শ। হেফাজত আমীরের মুখপাত্র মাওলানা মুনির আহমেদ বলেন, তাদের নেতারা খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে বসবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচী ঠিক করবেন।পিডিএসও/মুস্তাফিজ