নেপালে নিহত বাংলাদেশিদের জানাজা অনুষ্ঠিত
নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৩ জনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে তাদের প্রথম জানাজা হয়। ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে মরদেহগুলো সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। নয়টার দিকে জানাজা হয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে মরদেহগুলো আজ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। বেলা তিনটার দিকে উড়োজাহাজটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
যেসব যাত্রীর মৃতদেহ ঢাকায় আনা হবে তারা হলেন—ফয়সল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আক্তারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, আখি মণি, মিনহাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানবিন শশী রেজা, উম্মে সালমা, অনিরুদ্ধ জামান, নুরুজ্জামান ও রফিক উজ জামান। যে চার বিমান ক্রুর মৃতদেহ আনা হবে তারা হলেন—আবিদ সুলতান, পৃথুলা রশীদ, খাজা হোসেন মোহাম্মদ শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা।
১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ৪ ক্রুসহ বিমানের ৭১ জনের সবাই হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি ও ১ জন চীনাসহ ৪৯ জন নিহত হন। আর ১০ বাংলাদেশি, ৯ নেপালি ও ১ মালদ্বীপের নাগরিকসহ ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের কাঠমান্ডুর তিনটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ নেওয়া হয় টিচিং হাসপাতালের মর্গে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যে ১০ বাংলাদেশি প্রাণে বেঁচে গেছেন, তাদের মধ্যে ৬ জন ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন। একজনকে ভারতে ও একজনকে পাঠানো হয়েছে সিঙ্গাপুরে। কাঠমান্ডু মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়া শাহীন ব্যাপারী রোববার বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা পৌঁছালে বিমানবন্দর থেকেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন ইয়াকুব আলী ও কবির হোসেন কাঠমান্ডুতে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে কবির হোসেনকে ভারতে ও ইয়াকুব আলীকে দেশে আনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
পিডিএসও/হেলাল