শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
আখেরি মোনাজাতে শান্তি কামনা
মুসলিমউম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় সোয়া ১১টায়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের মাওলানা হাফেজ জোবায়ের। তিনি বাংলায় মোনাজাত করেন।
কয়েক বছর ধরে ভারতের মাওলানা সাদ ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করলেও এবার তার পরিবর্তে কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। ইজতেমা ময়দানে বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি।
মোনাজাতে কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেন। মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বিপদ থেকে হেফাজতের জন্য আল্লার কাছে প্রার্থনা করেন তারা। মুসল্লিদের আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনিতে তুরাগ তীর এলাকায় অন্যরকম ধর্মীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মোনাজাতের আগে উপস্থিত মানুষের মাঝে হেদায়েতি বয়ান পেশ করা হয়। এছাড়া ছয় উসুলের পাশাপাশি ঈমান ও আমলের ওপর হেদায়েতি বয়ান পেশ করা হয়। ইসলামের পথে চলার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যও দেয়া হয়। উপস্থিত মুসল্লিরা আগ্রহ ভরে তার বক্তব্য শোনেন। বয়ান শেষে শুরু হয় মোনাজাত। মোনাজাত শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই লাখো মুসল্লির কলরব থেমে যায়। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। মানুষ যে যে ছিলেন সেখান থেকেই মোনাজাতে শরিক হোন।
এরআগে গত দুদিন ধরে ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন ছিলেন লাখ লাখ দেশি-বিদেশি মুসল্লি। ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর বয়ান করেন আলেমরা। দেশ-বিদেশ থেকে আগত মুরব্বিরা তাবলিগের ছয় ওছুলের মধ্যে দাওয়াতে দ্বীনের মেহনতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বয়ান করেন। ইজতেমা শেষে আগত মুসল্লিরা দ্বীনের দাওয়াতি কাজে দেশ-বিদেশে বেরিয়ে যাবেন। চার দিনের বিরতি শেষে আগামী শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্ব শেষ হবে ২১ জানুয়ারি।
পিডিএসও/হেলাল