আন্তর্জাতিক গণআদালতে সু চি দোষী সাব্যস্ত
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে একটি আন্তর্জাতিক গণআদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের শুধু মুসলিম রোহিঙ্গা নয়, খ্রিষ্টান, কাচিন, এমনকি বৌদ্ধ তারাংদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে শুক্রবার রোমভিত্তিক পারমানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালের (পিপিটি) এই রায় দেয়।
ডকুমেন্টারি, বিশেষজ্ঞদের তথ্য এবং ২০০ জন ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়ে সাত সদস্যের বিচারক প্যানেল এই রায় দেয়। বিচারক প্যানেলের প্রধান ও আর্জেন্টিনায় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল ফিয়ারস্টাইন এই রায়ে পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে কাচিন ও মুসলিম গোষ্ঠীর ওপর চালানো গণহত্যার দায়ে মিয়ানমার সরকার দোষী প্রমাণিত হয়েছে। বিচারকদের রায়ে ১৭টি সুপারিশও করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে মামলার শুনানি চলে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীই শুধু নয়, দেশটির প্রধান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবং এর আলোচিত নেত্রী অং সান সু চি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র গত মার্চে লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত রোমভিত্তিক পারমানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালের (পিপিটি) সূচনা অধিবেশনে গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, এই পিপিটি ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পটভূমিতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধের ধারণায় প্রতিষ্ঠিত। ইতালির বোলোগনাতে ১৯৭৯ সালে এর যাত্রা শুরু। তবে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণআদালতের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম জেনারেলদের পাশাপাশি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কেউ নৈতিকভাবে দণ্ডিত ও দোষী সাব্যস্ত হলেন।
পিডিএসও/হেলাল