ঢাবি প্রতিনিধি
শিক্ষিকাকে মারতে তেড়ে এলেন শিক্ষক!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া রহমানের প্রতি অশালীন ও মারমুখী আচরণের অভিযোগ ওঠেছে একই ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদের বিরদ্ধে। পরিচালকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় সম্বোধন করে হাত তুলে মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ অধ্যাপক সামাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের নিকট লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। তবে অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি।
অভিযোগপত্রে তানিয়া রহমান উল্লেখ করেন, ইনস্টিটিউটের সি এন্ড ডি কমিটির সভা শেষে অধ্যাপক সামাদ আমাকে নানান ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন। কোন সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্পর্কে তিনি অমার্জিত, অশালীন ও অশ্রাব্য শব্দ চয়নসহ বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা অপবাদ সম্বলিত বাক্য উচ্চারণ করেন। তিনি (অধ্যাপক সামাদ) যে অশালীন শব্দ চয়ন ও বাক্য ব্যবহার করেছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নিকট থেকে অনাকাঙ্খিত ও অগ্রহণযোগ্য। তার এ ধরণের আচরণে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সি এন্ড ডি কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ১২ জুন সোমবার ইনস্টিটিউটের পূর্ব নির্ধারিত সি এন্ড ডি কমিটির সভা ছিল সকাল দশটায়। অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ তখনও না পৌঁছায় তার জন্য বিশ মিনিট অপেক্ষা করে সভা শুরু হয়। অধ্যাপক সামাদের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ২০ মিনিট পর সভা শুরু করেন পরিচালক। সভা শেষ হওয়ার পরে অধ্যাপক সামাদ এসে হাজির হন এবং পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া রহমানের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে কারণ জানতে চান। এ সময় তিনি পরিচালকের প্রতি মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে যান। অধ্যাপক সামাদ পরিচালককে বলেন, ‘আরেফিনের (উপাচার্য) কথামত তুমি এসব কর। তার কথামত চল। তোমাকে দেখে নিব।’
অধ্যাপক তানিয়া রহমান বলেন, এর আগেও একাধিকবার অধ্যাপক সামাদ আমার সাথে একই ধরণের অশালীন ও অশ্রাব্য আচরণ করেছেন। তার এ ধরণের আচরণে আমি কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এটা আমার বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র। একটি জামায়াত-শিবির চক্র সংঘবদ্ধভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। সভায় অনেক কথাই হয়েছে তবে অভিযোগে যা উল্লেখ করা হয়েছে তেমন কিছু হয়নি।
পিডিএসও/রানা