হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর
আচমকা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড দুই ইউনিয়ন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে অল্প সময়ের ঝড়ো বাতাস ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে জিনারী ইউনিয়ন ও সিদলা ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা। গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি সহ ঝড়ো বাতাস ওই অঞ্চলে আঘাত হানে। এতে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন থাকলেও উত্তর দিকের জিনারী ইউনিয়ন ও সিদলা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। এতেই শুরু হয় তান্ডব। ওপড়ে গেছে অনেক গাছপালা। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। সেই সঙ্গে আমন ফসলের ও ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঝড়ে উপজেলার নামা জিনারীর কেরামত আলীর পুরাতন বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, পেঁপে আম, জাম, কাঠাল, রেন্টি গাছ ভেঙেছে। খাপাড়ার আব্দুর রশিদের বসত ঘর, গোয়াল ঘর, রান্না ঘর, পরিবারের লোকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে গাবরগাঁও গ্রামের জেসমিন আক্তার পুষ্পর রান্নাঘর, গাছপালা, আওয়াল মিয়ার পুরাতন বসতঘর সহ অনেক পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া গাবরগাও, নামা জিনারী, হলিমা, ডাকরীয়া, বেলতলা, টেকাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
নামা জিনারীর বাসিন্দা মো.শামসুল ইসলাম জানান, রাত ৭টা ৪৫ এর দিকে হঠাৎ প্রচন্ড বাতাসের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি আসে। চোখের পলকেই গাছপালা ও বাড়িঘর ভাঙতে থাকে। গ্রামের অনেক বাসিন্দার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকের আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মাসুদ রানা জানান, জিনারি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় রাতে ঝড়ের কারণে পোল ভেঙ্গে যায় ও লাইনের উপরে গাছপালা পড়ায় উক্ত লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। বিদ্যুৎ এর একটি দল সচল করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল জানান, রাতের আচমকা ঝড়ে জিনারী ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা দেওয়া হবে।