সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
তীব্র শীতে স্থবির সিরাজগঞ্জের জনজীবন
সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীত আর হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পরেছে। বিশেষ করে যমুনা চরের অসহায় মানুষেরা তাদের নিত্যদিনের কাজ ফেলে নিজেদের ভাঙ্গা ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। এসকল এলাকা আবাল বৃদ্ধ বনিতাকে খড় কুটো জালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের ব্যর্থ চেষ্টা করছে। তাছাড়াও নিজেদের শরীরে জড়িয়ে রেখেছে একাধিক পুরাতন গরম কাপড়। কয়েকদিন ধরে শীত ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জে তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
অন্যদিকে ঘন কুয়াশা ও শীত পাল্টে দিয়েছে যানচলাচলের দৃশ্যপটও। জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে যানবাহন গুলিকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সদর উপজেলার চররায়পুর গ্রামের কৃষক বারেক আলী বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেগুন ও কাচা মরিচ খেতের পরিচর্যা করতে হচ্ছে। শীতের কারনে বোরো বীজতলা , মরিচসহ নানা ফসলে ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়াও তাদের জমিতে ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন কাজ বন্ধ প্রায়। ঘন কুয়াশার কারণে কাজিপুর-সিরাজগঞ্জ জেলা সদর সহ বিভিন্ন সড়কে যাতাযাত কারী যানবাহন চালাচলে বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়েছে। সিএনজিচালক লতিফ জানান, কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।
চরাঞ্চলের যাতায়েতের জন্য এক মাত্র মাধ্যম নৌকা। চরের এলাকার নৌকার মাঝি সোবাহান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নদীর মধ্যে দিক ঠিক রাখা যায় না। অনেক সময় দিক ভুল হয়ে নৌকা চরে গিয়ে আটকে যায়। এতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় পাশাপাশি যেকোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও জানান তিনি।
মেছরা চরের হতদরিদ্র হামিদা, রহিমা, আশা খাতুন জানান, কয়েক দিনের ঠান্ডায় চরের মানুষ কাহিল হয়ে পরেছে। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে ঘরের বাইরে যাইবার পারিনা। শীত থেকে বাঁচার জন্য আগুন তাপাই। প্রচন্ড শীতের কারণে শিশু সহ বিভিন্ন বয়েসের মানুষের শীতজনিত রোগ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় সিরাজগঞ্জ মেডিনোভা হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আকরামুজ্জামান।
পিডিএস/এমএইউ