সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙামাটি

  ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটিতে গরমে দুই বন্ধুর আখের দোকানে ভিড়, দিন বিক্রি ১০ হাজার টাকা 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

তীব্র গরমে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে রাঙামাটিতে আখের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে আখের রস কিনে খাচ্ছেন আবার অনেকে বোতলে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। গেলো কয়েকদিনে সারাদেশে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটিতেও এর প্রভাব পড়েছে। আর এ অতিরিক্ত গরমে এখানে বেড়েছে আখ রস বিক্রির হিড়িক।

আখের রস বিক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় তীব্র গরমের কারণে দ্বিগুণ বেড়েছে আখের রস বিক্রি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে আখের রস সংগ্রহ করায় খাওয়ার জন্য ভিড় জমায় ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাগর দেওয়ান ও সুমিত্র চাকমা দুই বন্ধু মিলে ৮০ হাজার টাকা দামের একটি মেশিন কিনে শহরের কে কে রায় সড়কের মারি স্টেডিয়ামের পাশে রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে বিক্রি করছেন আখের রস। এ আখের রসের দোকানে সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলে বেচা-বিক্রি। জানা যায়, রাঙামাটির সাপছড়ি, মানিকছড়ি, কুতুকছড়ি, নানিয়ারচরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে আখ সংগ্রহ করে আখের ছাল ফেলানো হয়। পরে ময়লাগুলো পরিষ্কার করে বের করা হয় মিষ্টি রস। এ কাজ করে থাকেন ৯ কর্মচারী। রসের দোকান হওয়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বেকার যুবকদের। ৪০ টাকার একটি আখে রস বের হয় এক লিটার। যা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতি গ্লাস আখের রস বিক্রি হয় ৩০ টাকা। তীব্র গরমে আখের রস চাহিদা বাড়ায় প্রতিদিন ১০ হাজার টাকার আখের রস বিক্রি করে প্রতিমাসে ৩ লাখ টাকা গুণছেন দুই বন্ধু সাগর দেওয়ান ও সুমিত্র চাকমা।

বন্ধুদের সঙ্গে আখের রস খেতে আসা তুহিন বলেন, ‘তীব্র গরমে বাসায় থাকা যায় না। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্বস্তি পেতে আখের রস খেতে আসছি।’ আর্য্যমিত্র চাকমা বলেন, ‘ঠান্ডা এবং নরমাল খাওয়ার সুযোগ হয় বলে প্রতিদিন এক গ্লাস হলেও আখের রস খেতে আসি।’

রাঙামাটি বিএম কলেজের শিক্ষার্থী মনি চাকমা জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করেন দুই বন্ধুর আখের দোকানে। তার কাজ হচ্ছে আখের রস বিক্রি ও রাতে শিক কাবাব বিক্রি করা। প্রতিমাসে পারিশ্রমিক পান ১২ হাজার টাকা।

আখের রস বিক্রেতা সাগর দেওয়ান বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকার অধিক আখের রস বিক্রি হয়। শ্রমিকদের বেতনসহ সব খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি লাভ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘২০২৩ সালের দিকে বন্ধু সুমিত্র চাকমাকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আখ রসের দোকান বসিয়েছি। প্রথমত ৩ জন কর্মচারী রেখেছিলাম। বেচাবিক্রি বেড়ে যাওয়ায় এখন ৯ কর্মচারী রাখা হয়েছে।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাঙামাটি,আখ,গরম,দোকান,ভিড়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close