নিজস্ব প্রতিবেদক ও মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

রাজধানী ও মুন্সীগঞ্জ

হত্যার দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

হত্যা মামলায় মুন্সীগঞ্জে ৪ ও রাজধানীর মিরপুরে একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মিরপুরে ১১ বছর আগে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত মানিক মিয়া ব্যাপারির বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। রায়ের সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মানিক মিয়ার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে, ঢাকার তিনি থাকতেন মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মতিয়ার রহমানের মেয়ে সাদিয়া আফরিন রিতার সঙ্গে তার প্রেম হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। এরই এক পর্যায়ে মানিক ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি রিতার মাকে ফোন করে বলেন, তাদের মেয়ের ‘খুব জেদ’, দুদিন তিনি বাসায় ফেরেননি। রিতার কিছু হলে তিনি দায়ী থাকবেন না। এরপর রিতার মা ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় গিয়ে মেয়ের বাসায় যান। বাসার দরজা তালাবন্ধ দেখে বাড়িওয়ালার বোনের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কথায় জানতে পারেন, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে একটি ব্যাগ নিয়ে একা বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন রিতা। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আতাউর রহমান। তিনি জানান, ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার মানিক মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।

এদিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অটোরিকশা চালক আশরাফুল ইসলাম (৩০) হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন উর্মি আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রুবেল ইসলাম নয়ন, মোহাম্মদ রাজেল, আকরাম মোল্লা ও হাসান শেখ। এছাড়া এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইমরান হোসেন তোফাজ্জল ও সবুজ শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন। অন্য তিন আসামিকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত আশরাফুল ইসলাম সন্ধ্যা ৬টায় অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। রাত ৮টায় নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলামের কাছে খবর আসে তার ছেলে আশরাফুলকে উপজেলার গোয়ালিমান্দ্রা এলাকায় গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌশলী।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হত্যা,মৃত্যুদণ্ড,আদালত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close