reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ মে, ২০২৪

কর প্রদানে নির্ধারিত সীমাবদ্ধতা কী আজও অজানা? 

বাংলাদেশ NBR (National Board of Revenue) অনুসারে প্রতিবছর জুলাই ১ থেকে নভেম্বর ৩০ এর মধ্যে কর বহনকারীদের কর প্রদান করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকেরই অজানা কর মওকুফ ও সীমাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে।

কীভাবে কর সীমাবদ্ধতা ধার্য করা হয়েছে?

কর মওকুফ প্রসঙ্গে প্রথমেই বলা যায়, যদি কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩,৫০,০০০ টাকা এর নিম্নে উপনিত হয় তাহলে তাকে কোনো প্রকার কর প্রদান করতে হবে না। তাছাড়া মহিলা করদাতা, তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতার কিছু পরিবর্তন রয়েছে।

যেমন—

  • মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার ক্ষেত্রে ৪,০০,০০০ টাকা ।
  • তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে ৪,৭৫,০০০ টাকা।
  • গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ক্ষেত্রে ৫,০০,০০০ টাকা।
  • আবার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানের পিতা বা মাতার ক্ষেত্রে করযোগ্য টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা বাড়িয়ে ধরা হয়।
  • কীভাবে একজন চাকরিজীবীর কর সীমাবদ্ধতা হিসাব করা হয়?

বাংলাদেশ আয়কর আইন অনুযায়ী একজন সরকারী চাকরিজীবীকে শুধুমাত্র বার্ষিক বেতন,বোনাস এবং উৎসব ভাতা এর উপর কর প্রদান করতে হয় এবং বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে চাকরি হতে মোট উপার্জনের এক তৃতীয়াংশ কিংবা ৪,৫০,০০০ টাকা এর মধ্যে যেটি কম সংখ্যক সেটি মওকুফ করা হয়।

অজানা কর সীমাবদ্ধতা

আয়কর আইন, ২০২৩ এর অনুচ্ছেদ ৬ মোতাবেক কিছু কিছু ক্ষেত্রে করের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

  • গ্র্যাচুইটি (যার ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পুরোপুরি মওকুফ করা হয়েছে)।
  • জমাকৃত Recognized Provident Fund এর সমস্ত টাকার উপর কর মওকুফ করা হয়েছে।
  • সরকারি পেনশনের পুরো টাকার উপর কর মওকুফ করা হয়েছে।
  • বীমা এবং সঞ্চয়পত্রের টাকার উপর কিছু অংশ কর মওকুফ করা হয়েছে।
  • এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন খাতে উপহার দেয়া দ্রব্যাদির উপর কর মওকুফ করা হয়েছে।

কর সীমাবদ্ধতা কি কর প্রদানে সহযোগী?

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কর প্রদানে অনাগ্রহ প্রকাশ করে যার পেছনে একটি অন্যতম কারণ হলো কর সীমাবদ্ধতা। অনেকের মধ্যেই বিষয়টি অজানা থাকার কারনে বছর শেষে অধিক পরিমান টাকা প্রদানের ভয়ে অনেকেই আজ কর প্রদানে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। কর সীমাবদ্ধতার বিষয়টি প্রকাশের মাধ্যমে এই অনাগ্রহতা দূর করা সম্ভব।

মনে রাখবেন, “কর যেমন সরকারের একটি অধিকার, দেশের নাগরিক হিসেবে কর প্রদান করাও আমাদের সকলের কর্তব্য।”

লেখক- মোছা: ওয়াজিফা খানম (শিক্ষার্থী), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস তথ্য সংগ্রহ- আয়কর পরিপত্র: করবর্ষ ২০২৩-২০২৪

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close