নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ অক্টোবর, ২০২২

বিশ্বে সবুজ কারখানার শীর্ষে বাংলাদেশ

বিশ্বে সবুজ পোশাক কারখানা ভবনে বাংলাদেশের স্থান শীর্ষে উঠে এসেছে। ৫৪টি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম রেটিং, ১০৫টি গোল্ড রেটিং ও ১০টি সিলভার রেটিং পেয়েছে। এরই মধ্যে আরো দুটিকে সবুজ কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। এতে পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৩-এ।

নতুন করে স্বীকৃতি পাওয়া এ দুটি কারখানা মধ্যে গাজীপুরের আমান টেক্সটাইল লিমিটেড পেয়েছে প্লাটিনাম রেটিং এবং ঢাকায় আয়েশা ফ্যাশন লিমিটেড গোল্ড রেটিং।

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, নতুন করে সবুজ কারখানার সনদ পাওয়া দুই কারখানার মধ্যে গাজীপুরের আমান টেক্সটাইল লিমিটেডকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল। প্রতিষ্ঠানটিকে ৮৯ পয়েন্ট দিয়েছে ইউএসজিবিসি। এছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর স্বীকৃতি পেয়েছে আয়েশা ফ্যাশন লিমিটেড। ইউএসজিবিসি এই প্রতিষ্ঠানটিকে পয়েন্ট দিয়েছে ৬৪। এছাড়া চারটি কারখানা কোনো রেটিং পায়নি তবে সনদ পেয়েছে। জানা গেছে, আরো প্রায় ডজনখানেক কারখানা পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড) সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে কিছু নীতিমালা মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যে পরিমাণ জমির ওপর ফ্যাক্টরি হবে তার অর্ধেকটাই ছেড়ে দিতে হবে সবুজায়নের জন্য। ফ্যাক্টরির চারপাশে খোলা জায়গা থাকবে সবুজ বাগান থাকবে। শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ থাকবে সুন্দর। এক শ্রমিক থেকে অন্য শ্রমিকের নির্দিষ্ট দূরত্বও থাকবে। এছাড়া সব কাজই অটোমেশনে হবে। মেশিনারিজ হবে অত্যাধুনিক। শ্রমিকদের আবাসন ব্যবস্থাসহ যাতায়াতের জন্য থাকতে হয় বিশেষ সুবিধা। এ ধরনের কারখানায় শ্রমিকদের জন্য লাইফস্টাইল সেন্টার, শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ও খাবারের জন্য ডাইনিং কক্ষ, মসজিদ অথবা নামাজ ঘর এবং প্রশিক্ষণ কক্ষ থাকতে হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close