তারিক আজিজ

  ০৮ অক্টোবর, ২০২১

সাধক সুলতানের বিস্মিত শিল্পভাণ্ডার

মহাবিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টিকারী বস্তু বা উপাদানের অন্ত নেই বলেই আমরা জানি। তবে সব সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ ও বিস্মিত রূপ হিসেবে মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সর্বোত্তম অবয়ব দিয়ে সাজিয়েছেন। একই সঙ্গে মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানে নৈতিক মূল্যবোধ ও সুপথে নিয়োজিত হওয়ার জন্য জ্ঞানার্জন ও সাধনাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছেন স্রষ্টা। প্রভু দয়াময় চাইছেন, সৃষ্টির সেরা মানুষ নিজেকে জানুক, মানুষে রূপ নিয়ে মানবীয় কল্যাণকর্মে থাকুক তার সেরা জীব। মানুষের ভাবনায় বিরাজিত হোক সদা সদ্ভাব, প্রেম ও ভক্তি। তবেই না হবে সৃষ্টির সেরা। তখন মানুষ গাইবে প্রভুর গান। আকুল হয়ে শুনবে তার গুণগান। এমন করেই হয়তো মানুষ দেখতে পায় স্রষ্টার উপস্থিতি সদা বিরাজমান।

মূলত স্রষ্টার প্রতি অসীম প্রেমভক্তি ও তার প্রদত্ত অসীম জ্ঞানের আলোকচ্ছটাতেই মানুষ তার শুদ্ধরূপের সন্ধান পেতে পারে। তবে সেরূপ সাধন বড্ড কঠিন ও দুর্গম হলেও অসম্ভব নয়, যা মহাপুরুষ ও সাধকরাই তাদের কর্মসাধন গুণে অর্জন করতে পারেন বা কোনো গুরুর কৃপায় শুদ্ধরূপ প্রাপ্ত হোন। সেই মহাপুরুষ ও সাধকদের কল্যাণেই আমরা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ পেয়ে থাকি অনন্য, অসাধারণ সব বিস্মিত সৃষ্টিকর্ম বা সুপথের নির্দেশিকা। তারা স্থান-কালের ঊর্ধ্বে উঠে আত্মনিমগ্নতায় স্রষ্টার দেওয়া জ্ঞান ও গুণের মাধুর্য বিলিয়ে দেন সবার জন্য। যাতে মানুষ সুপথপ্রাপ্ত হতে পারে বা প্রভুকে চিনতে এবং নিজকে জানতে পারে।

অখণ্ড ভারত উপমহাদেশে বাংলার এস এম সুলতান এমনই এক সাধক পুরুষ। যিনি প্রভুর প্রেমের নিমগ্নতায় প্রকৃতিকে ভালোবেসে মানুষের প্রাণশক্তিকে অনন্যভাবে শিল্পিত রূপ দিয়েছেন। সুলতানকে সবাই প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসেবে নির্ণয় করে থাকেন। কিন্তু তিনি শুধু একজন চিত্রশিল্পীই ছিলেন না, আত্মনিমগ্ন আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়োজিত অভিন্ন এক সাধক পুরুষ ছিলেন। বাঁশি বাজাতেন। তার বাঁশির সুরের মোহনায় আবিষ্ট হয়ে যেত আকাশের পাখি থেকে জলের মাছরাও। গাছেরা যেন তার নিত্যসঙ্গী। সুলতানের ক্যানভাসে গাছ ও পাতার রসেরা রং হয়ে আন্দোলিত হতো। তার তুলির ছোঁয়ায় ফুলেরা সুসজ্জিত হয়ে সুবাস ছড়িয়ে দিত। তাই তো তাকে চিত্রের জাদুকর বলা হতো।

সুলতানের প্রতিটি শিল্পকর্মের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সঙ্গে রয়েছে তার গভীর এবং নিবিড় মমত্ববোধ, একাত্মতা, যা তার সৃষ্টিকে অনন্যসাধারণ করে তুলেছে। তার অধিকাংশ চিত্রে প্রায়ই একটি বার্তা পাওয়া যায়। এজন্য ঢাকার গ্যেটে ইনস্টিটিউটের এককালীন পরিচালক পিটার জেভিটস তাকে ‘এশিয়ার কণ্ঠ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘এই উপমহাদেশের গুটিকয়েক অসামান্য শিল্পীর মধ্যে সবচেয়ে জমকালো সুলতান। তিনি এশিয়ার কণ্ঠস্বর।’ মূলত তার সৃষ্টিতে আমরা উপনিবেশ-উত্তর এশিয়ার মানুষই নয় বরং সারা পৃথিবীর প্রত্যয়ী ও সংগ্রামী মানুষকে উপলব্ধি করি। তার ক্যানভাসে বঞ্চিত, শোষিত, অবহেলিত মানুষের মর্মবেদনা চিত্রিত হয়ে বলিষ্ঠ প্রত্যয়ী আশাবাদী রূপ লাভ করে। পাশাপাশি আমরা দেখি, বৈচিত্র্যময় নিসর্গের অনুভূতির নান্দনিক রূপলাবণ্য ও অভিন্নশক্তি।

এস এম সুলতান স্বভাবতই তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ ও আনন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মাঠে। বিশেষভাবে আবহমান গ্রামীণ বাংলার পুরোনো ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও মানুষের টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তার অনেক চিত্রে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণ-প্রাচুর্যের প্রশান্তির পাশাপাশি শ্রেণিবৈষম্যের দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফুটে ওঠে। এ ছাড়া তিনি স্বতন্ত্রভাবে কৃষককে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এখানেই সবার চেয়ে আলাদা সুলতান। তিনি ফসলি মাঠে কৃষকের স্বপ্নকে শক্তিরূপে অবলোকন করেন। কৃষককে অতিকায় শক্তিশালী পেশিবহুলভাবে উপস্থাপন করেন চিত্রের পরতে পরতে।

এ প্রসঙ্গে প্রাজ্ঞজন আহমদ ছফা সুলতান সম্পর্কে তার উপলব্ধির অতুলনীয় অভিব্যক্তি এভাবে দিয়েছেন, ‘সুলতানের কৃষকরা জীবনের সাধনায় নিমগ্ন। তারা মাটিকে চাষ করে ফসল ফলায় না। পেশিশক্তি দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে প্রকৃতিকে ফুলে-ফসলে সুন্দরী সন্তানবতী হতে বাধ্য করে। এখানেই সুলতানের অনন্যতা। এখানেই বাংলার কোনো শিল্পীর সঙ্গে, ভারতবর্ষের কোনো শিল্পীর সঙ্গে সুলতানের তুলনা চলে না।’ তাই এখানে মারিও পালমার উক্তিকে বিশদ করে বলতে চাই, তিনি সুলতানকে বাংলার মাটি ও আত্মার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার বা ভাষ্যকার হিসেবে অভিহিত করেছেন। এভাবেই আধুনিক শিল্পের জগতে আত্মবিকাশের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সুলতান স্বকীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

সুলতান শুধু চারুশিল্পীই ছিলেন না, পৃথিবীর মানুষের জীবনের সব সুন্দর বৃত্তি ও আত্মবিশ্বাসের প্রকাশকে যেন তিনি আত্মস্থ করে নিয়েছিলেন। তিনি মাটি ও মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসে ছিলেন। উৎকর্ষ অর্জনের প্রবৃত্তি ছিল তার এক জন্মগত গুণ। আশ্চর্য ছিল তার বহুমুখী প্রতিভা। চমৎকার বংশীবাদক ছিলেন, দর্শন সাহিত্য ও সংগীতে ছিল তার গভীর আগ্রহ। ইংরেজি, বাংলা ও উর্দুতে তিনি অত্যন্ত পরিশীলিত কথোপকথন করতেন। এমনকি চমৎকার ভাষণও দিতে পারতেন।

চিত্রাঙ্কনের পাশাপাশি অনবদ্য বাঁশি বাজাতেন তিনি। তার হাতে প্রায়ই বাঁশি দেখা যেত। পুষতেন বিষাক্ত সাপ, ভল্লুক, বানর, খরগোশ, মদনটাক, ময়না, গিনিপিক, মুনিয়া, ষাঁড়সহ বিভিন্ন পশু-পাখি। তিনি বাড়িতে একটি মিনি চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিংস্র প্রাণীকেও তিনি বশে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। মূলত সাধক পুরুষরাই এমন করে প্রকৃতিকে তার নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়ে ওঠেন। আমাদের সুলতান তেমনই একজন সাধনালিপ্ত সাধক পুরুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে নিয়েছিলেন। নশ্বর পৃথিবীর ক্ষণকালীন ঐশ্বর্য-সম্পদ, যশ-খ্যাতি, বিলাসী জীবন তাকে কোনোভাবেই মোহগ্রস্ত করতে পারেনি। তিনি সাদামাটা মানুষের শুদ্ধরূপকেই আপন করে নিয়েছিলেন। তাই তো রহস্যময় মানুষ হয়ে ঘুরে-বেড়াতেন গ্রাম-বাংলার নানা প্রান্তে। কোনো কিছুই তাকে আবদ্ধ করে রাখতে পারেনি। মুক্তপাখি হয়ে সুদূর দিব্যদৃষ্টি দিয়ে তিনি অবগাহন করতেন মানুষের চিন্তা-বৈভব ও প্রাণশক্তি। এভাবেই তার দিব্যজ্ঞানের জ্যোতিতে প্রতিটি শিল্পকর্ম হয়ে উঠত প্রাণময় শক্তিমান।

পঞ্চাশের দশকে ইউরোপ সফরের সময় সুলতান যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচটি এবং বিলেতে চারটি প্রদর্শনী করেন। এর মধ্যে একটিতে পাবলো পিকাসো, সালভাদর দালি, মাতিস, ব্রাক ও ক্লির মতো বিশ্বনন্দিত আধুনিক সেরা শিল্পীদের চিত্রকর্মের সঙ্গে প্রদর্শিত হয় তার রচিত্রকর্ম। সুলতানই একমাত্র এশিয়ান শিল্পী; যার ছবি এসব শিল্পীর ছবির সঙ্গে একত্রে প্রদর্শিত হয়েছিল। এরপরই ১৯৫৫-৫৬ সালের দিকে শিল্পী মাটির টানে দেশে ফিরে আসেন।

এস এম সুলতান যখন বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। এ সময়টায় তিনি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন। তাই তো সবকিছু ছেড়ে তিনি হয়ে উঠতে থাকেন রহস্যমানব। গ্রাম-বাংলার আপনভূমিতে এসে আত্মসাধনায় লিপ্ত হয়ে তিনি নিজেকে ভিন্নরূপে উপলব্ধি করেন। তাই আমরা দেখতে পাই, ১৯৫১ থেকে ১৯৭৬ সালের মাঝে সুলতানের কোনো প্রদর্শনী হয়নি। তবে স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার পর ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বরে শিল্পকলা অ্যাকাডেমির গ্যালারিতে পঁচাত্তরটিরও বেশি চিত্রকর্ম নিয়ে সুলতানের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী হয়।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে সুলতানের ছবির কদর অনেক বেড়ে যায়। সুলতান সে সময় চিত্রাপাড়ের ভাঙা বাড়ির সংসার রেখে ঢাকায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু থাকতে পারেননি। নাগরিক জীবনের সঙ্গে একেবারেই মানাতে পারেননি নিজেকে। চিত্রা নদীর পাড়ের গুল্মঘেরা পরিত্যক্ত বাড়িতেই ফিরে যান আবার। পাখি, মানুষ আর শিশুদের নিয়ে সারা দিন ঘুরে বেড়ান, শিশুদের ছবি আঁকা শেখান, গল্প করেন। নিজের মতো করে আপনভুবনে মগ্ন থাকতেই নিজ উদ্যোগে জন্মস্থান নড়াইলের মাছিমদিয়ায় ফাইন আর্ট স্কুল ও ‘শিশুস্বর্গ’ নামে শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। শিশু-কিশোরপ্রেমী সাধক সুলতান ১৯৮০ সালে নিজ বাড়িতে শুরু করেন এই শিশুস্বর্গের নির্মাণকাজ। পরে ১৯৯২ সালে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থের ‘ভ্রাম্যমাণ শিশুস্বর্গ’ নামে দ্বিতল নৌকা নির্মাণ করেন। এ নৌকায় তিনি শিশুদের নিয়ে চিত্রা নদীতে ভ্রমণ করতেন এবং নৌকায় বসেই চিত্রাঙ্কন শেখাতেন। আমৃত্যু এভাবেই নিজেকে নিভৃতিচারী ও কল্যাণকামী সাধনায় মনোনিবেশ রেখেছিলেন তিনি।

জীবদ্দশায় সাধক শিল্পী সুলতান কখনোই নাম, পুরস্কার কিংবা খ্যাতির তোয়াক্কা করেননি। ছিলেন বোহিমিয়ান জীবনাচরণের অনুসারী এবং আধ্যাত্ম সাধনায় লিপ্ত অনন্য পুরুষ। এখানেই বিশে^র অন্যসব শিল্পীর তুলনায় সুলতান ছিলেন আলাদা ও স্বতন্ত্র। তিনি তার চিত্রকলার ধরন সম্বন্ধে বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ তো অনেক রুগ্ণ, কৃশকায়। একেবারে কৃষক যে সেও খুব রোগা, তার গরু দুটো, বলদ দুটো- সেগুলোও রোগা। আমার ছবিতে তাদের বলিষ্ঠ হওয়াটা আমার কল্পনার ব্যাপার। মন থেকে ওদের যেমনভাবে আমি ভালোবাসি; সেভাবেই তাদের তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশের এই কৃষক সম্প্রদায়ই একসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য গড়েছিল। দেশের অর্থবিত্ত এরাই জোগান দেয়। আমার অতিকায় ছবিগুলোর কৃষকের অতিকায় দেহটা এই প্রশ্নই জাগায় যে, ওরা কৃশ কেন? ওরা রুগণ কেন- যারা আমাদের অন্ন জোগায়, ফসল ফলায়। ওদের বলিষ্ঠ হওয়া উচিত।’

শিল্পী সুলতান সাধারণ কোনো মানুষ ছিলেন না বরং সাধক পুরুষ ছিলেন। তিনি চাইলে বিলাসী জীবনযাপন করতে পারতেন। নিজের খ্যাতি ও সমাদরকে পুঁজি করে সবার মধ্যমণি হয়ে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি সবকিছু ছেড়ে গ্রহণ করেছেন সংগ্রামের পথ, কষ্টের পথ। তিনি জীবনের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন। জঙ্গলের মধ্যে গাছের নিচে বসে রাত কাটাতেন। তার থাকার ঘরে ছিল বিষাক্ত সাপে ভর্তি। শিবমন্দিরেও বহুদিন থেকেছেন। পুষতেন অনেকগুলো বিড়াল। তার একটি ছোট চিড়িয়াখানাও ছিল। যেখানে হিংস্র প্রাণীগুলো তার কথাতেই যেন চলাফেরা করত। মূলত আধ্যাত্ম সাধনায় নিমগ্ন থেকেই তিনি সবার চেয়ে আলাদা হয়ে নিজেকে সাধক শিল্পী হিসেবে গড়তে পেরেছিলেন। এভাবেই স্বকীয় ধারার শিল্পের জগতে বিচরণ করে সাধক পুরুষ শিল্পী হিসেবে নিজেকে রূপান্তর করেন সুলতান। তাই তো বিশে^র চিত্রকলার জগতে সুলতান এক অবিস্মরণীয় নাম হয়ে প্রজ্জ্বালিত। আর তার শিল্পভা-ার বিস্মিত রূপ ধারণ করে শক্তিমান মানুষের অন্তর্নিহিত শুদ্ধপ্রাণকে প্রতিচ্ছবি করে আমাদের প্রাণশক্তিকে পুনর্জীবন লাভের পথ দেখায়। তাই সাধক এই শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও ভক্তি রইল। মহান এই শিল্পী ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় দেহত্যাগ করে শিল্প ও জীবনের দায় থেকে মুক্তি লাভ করেন। এবার তার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে।

সুলতানের শিল্পভা-ারকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে চাইলে ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে তার ৫০ বছরের শিল্পকর্ম নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় তিন মাসব্যাপী প্রদর্শনী প্রদর্শিত হচ্ছে। তাই সাধক সুলতানকে আবিষ্কার করতে শিল্পপ্রেমীরা সময় করে প্রদর্শনীটি দেখে আসতে

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close