নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ এপ্রিল, ২০২৪

তাপপ্রবাহে চড়া ডাবের বাজার

এককাপ ডাবের পানি থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৬০ ক্যালোরি। এছাড়া এ পানীয়তে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক উপকারী খনিজ। এতে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও আছে। আর এসব কারণেই গরমের দিনে ডাবের পানি খেলে শরীর থাকে ঠাণ্ডা। এমনকি দেহে পানির ঘাটতিও মিটে যায়। সে সঙ্গে ফিরে আসে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য। চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা মেটাতে অনেকে ডাবের পানির ওপর ভরসা করেন। এ পরিস্থিতিতে বেড়েছে ডাবের দাম।

রাজধানীতে বড় আকারের ডাবের দাম উঠেছে ১৫০ টাকায়। ছোট আকারের কচি ডাব কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা বা তার ওপরে। বিক্রেতারা বলেছেন, পাইকারিতে ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। ক্রেতারা গরমে পানির চাহিদা মেটাতে ডাব কিনলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল রবিবার বিভিন্ন বাজার এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, অধিকাংশ ডাবের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়; দরদাম করলে কোথাও কোথাও একটু কম রাখছেন কোনো বিক্রেতা।

রাজধানীর মতিঝিলের ডাব বিক্রেতা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, পাইকারিতে ডাবের দাম অনেক বেশি। ১০০ ডাব কিনতে গেলে দাম পড়ছে ১০ হাজার টাকার ওপরে। এসব ডাব ছোট বড় আলাদা করে বিক্রি হয়; বড় আকারের ডাব বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়। গরমে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে চড়া দাম দিয়েও ডাব পাচ্ছেন না অনেক বিক্রেতা। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের খুচরা ডাব বিক্রেতা সৈকল ঢালি বলেন, আজ (গতকাল) মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ডাব নিয়ে এসেছি। ডাবের দাম বেশি পড়েছে। ছোট বড় বেছে প্রতিটি ডাব বিক্রি করছি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এসব ডাবের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল।

এ দামে ক্রেতারা কিছুটা অসন্তুষ্ট হলেও গরমে পানির চাহিদা মেটাতে ডাব কিনছেন তারা। মালিবাগে ডাব খেতে খেতে নিরঞ্জন মল্লিক বলেন, ঈদের আগে রমজানের মধ্যে ৬০ টাকা দিয়ে যে আকারের ডাব কিনেছিলাম; আজ (গতকাল) সেই একই আকারের ডাম ১২০ টাকা দিয়ে খেলাম। গরমে আর কিছু তো সেভাবে খাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য দাম দিয়ে হলেও ডাব খেলাম। এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু ১ সপ্তাহ ধরে তা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close