নাজমুল ইসলাম, পাবিপ্রবি

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অস্তিত্ব নেই সংগঠনের তবু দিতে হয় টাকা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কোনো শাখা নেই। কিন্তু এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফান্ড আছে এবং সে ফান্ডে শিক্ষার্থীদের থেকে প্রতি সেমিস্টারে টাকাও নেওয়া হয়। সংগঠন না খুলেই সংগঠনের নামে টাকা তোলাকে নীতিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিএনসিসির নামে টাকা নেওয়া হলেও সেটি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনেই ব্যয় করা হচ্ছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর এবং বিভিন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই বিএনসিসির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতকের (অনার্স) শিক্ষার্থীদের থেকে বিএনসিসির পরিবর্তে রোভার স্কাউটের টাকা নেওয়া শুরু করে। তবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের থেকে বিএনসিসির জন্য টাকা নেওয়া বন্ধ করা হয়নি। স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের থেকে ১৫০ টাকা করে নেওয়া শুরু হয়। রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে আরো জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত থেকেই বিএনসিসির জন্য টাকা তোলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি শাখা না থাকায় শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে খরচ হয়। বিএনসিসির জন্য আলাদাভাবে কোনো টাকা জমা হয় না। সংগঠন না খুলে সংগঠনের নামে এভাবে টাকা তোলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘একটা সংগঠনের অস্তিত্বই নেই, সেখানে সংগঠনের নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নেই যদি এই টাকা খরচ করতে হয়, তাহলে সেটা উন্নয়ন ফি নামেই নেওয়া হোক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, ‘এত বছরেও বিএনসিসির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন খুলতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। আরো বড় ব্যর্থতা আমরা সংগঠন না খুলে এর নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘বিএনসিসির জন্য যে টাকা নেওয়া হয়, সেটি প্রশাসনের অনেক আগের সিদ্ধান্ত। যেহেতু বিষয়টি সামনে এসেছে, আমরা উপাচার্য মহোদয়কে অবগত করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন বলেন, তখনকার সময়ে কেন এবং কোনো সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে টাকা নেওয়া শুরু হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। টাকাটা যাতে উপযুক্ত খাতে ব্যয় হয় আমরা সেটা দেখব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close