ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আস্থা বাড়ছে স্বাভাবিক প্রসবে

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসবে মানুষের আস্থা বাড়ছে। এতে দিন দিন স্বাভাবিক প্রসবের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ নার্সদের আন্তরিকতা আর দক্ষতার কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে হাসপাতালে ১৪৭টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। ২০২২ সালে হয়েছে ৩৪৯টি ও ২০২৩ সালে হয়েছে ৩৬৮টি। আর ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৫টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক নরমাল ডেলিভারি কক্ষ রয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি সনদ দেওয়া হয়। ফলে সহজেই জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন শিশুর পরিবার। সিজারিয়ান অপারেশন না করে স্বাভাবিক প্রসবে জনসচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচির গ্রহণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা জানান, স্বাভাবিক প্রসবে মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই অনেক ভালো যা মৃত্যু ঝুঁকি কমায়। প্রসবের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মায়েদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। চিকিৎসা চলাকালীন বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসব হওয়া গোপালপুর গ্রামের ছালমা বেগম, পাইকেরছড়া গ্রামের আবিদা সুলতানা জানান, শুরুতে তাদের স্বাভাবিক প্রসবে ভয় লাগলেও নার্স ও চিকিৎসকদের আশ্বাসে নিরাপদে প্রসবে হয়েছে। এতে তাদের অনেক টাকা বেঁচে গেছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, মাতৃ মৃত্যুর হার কমাতে এবং স্বাভাবিক প্রসব নিরাপদ করতে হাসপাতালে দক্ষ মিডওয়াইফ নার্স রয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close