বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১০ জানুয়ারি, ২০২৪

১৪ লাখ টাকা ক্ষতির দাবি চাষিদের

লবণ মাঠের পলিথিন কাটল দুর্বৃত্তরা, প্রাণনাশের হুমকি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী : ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লবণ চাষি। মৌখিক অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের * ফাঁকা গুলিতে ভীতি সঞ্চার করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা * জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ওসির

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ২০ বর্গাচাষির ১৫ একর লবণ মাঠের প্রায় ৫০০ পাটি পলিথিন কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ‘অর্ধ ফুটন্ত’ লবণসহ চৌদ্দ লাখের বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি নুরুল, ইসমাইল, সাইফুল, বাদশা, শাহনেওয়াজ, দেলোয়ারসহ ২০ লবণচাষির।

গত সোমবার রাত ১১টার দিকে পশ্চিম সরল ২ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গোপসাগর উপূকলীয় সচিবের ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ধার করে মোটা অঙ্কের খাজনা দিয়ে লবণচাষে নেমেছেন বাঁশখালী উপকূলীয় সরল এলাকার প্রান্তিক চাষিরা। শীত মৌসুমে দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশা ও তাপমাত্রা কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত লবণ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। লবণ উৎপাদনে কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রান্তিক এসব লবণচাষি।

এ বিষয়ে লবণচাষি মনজুর বাঁশখালী থানায় একটি মৌখিক অভিযোগ জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।

বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল বলেন, ‘আমরা মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কে বা কারা এ ঘটনা করেছে তা এখনো জানতে পারিনি।’

চাষিরা জানায়, ঘটনার দুদিন আগে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা দলবল নিয়ে তাদের ১৫ একর লবণ মাঠের পলিথিন ও লবণ নষ্ট করে। এতে ঘটনাস্থলে ঘুমিয়ে থাকা লবণচাষিরা প্রতিহত করতে চাইলে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ফাঁকা গুলি করে ভীতি সঞ্চার করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের দাবি করা চাঁদা সঠিক সময় পৌঁছে দেওয়ার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী লবণচাষি মনজুর আলম বলেন, ‘রাতের আঁধারে আমাদের লবণ মাঠে বিছানো পলিথিন কেটে দিয়ে উৎপাদন ব্যাহত করেছে তারা। ১৫ একর লবণ মাঠের সম্পূর্ণ পলিথিন কেটে ‘অর্ধ ফুটন্ত’ লবণ নষ্ট করে ফেলেছে। এতে আমাদের ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার বলেন, ‘একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close