বেড়া-সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

  ০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনীসামগ্রী নিতে ভরসা অবৈধ নছিমন-করিমন

উপজেলার ১৬১টি ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী সামগ্রী নিতে দেড় শতাধিক নছিমন-করিমন * নছিমন-করিমন চলাচল নিষিদ্ধ জানা নেই বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের

মহাসড়কে নছিমন-করিমনের চলাচল নিষিদ্ধ অথচ সেই নছিমন-করিমনই নির্বাচনীসামগ্রী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের এখন প্রধান ভরসা। গতকাল শনিবার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদে দেখা যায় সারি সারি নছিমন-করিমন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

পাবনা-১ (সাঁথিয়া বেড়া আংশিক) উপজেলার ১৬১টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও মালামাল বহনের কাজে অংশ নেয় দেড় শতাধিক নছিমন-করিমন।

সরেজমিনে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা ও নছিমন-করিমন চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ভোটকেন্দ্রে মালামাল নেওয়ার প্রধান বাহন হিসেবে নছিমন-করিমন ব্যবহৃত হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনীসামগ্রী সরবরাহ করা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। প্রতিটি নছিমন-করিমনের সামনে বড় করে কাগজে লেখা রয়েছে ভোটকেন্দ্র ও ইউনিয়নের নাম। পরে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নির্ধারিত নছিমন-করিমনে উঠে রওনা দিচ্ছেন নিজ নিজ ভোটকেন্দ্র।

হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে নছিমনে করেই তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে ও সেখান থেকে ফিরতে হবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই নছিমনটি আগে থেকেই তাদের জন্য নির্ধারণ করা ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ হওয়া সত্বেও নিতান্ত নিরুপায় হয়ে নছিমনে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা নছিমনচালক হামিদুল, ইয়াসিন, বাবুসহ পাঁচণ্ডছয়জন জানান, দু-তিন দিন আগেই পুলিশ ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তাদের বলে রেখেছিল। সেই মোতাবেক তারা গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদে নছিমন নিয়ে আসেন। এ জন্য ভাড়া বাবদ দুই হাজার টাকার কাছাকাছি দেওয়া হচ্ছে বলে তারা জানান।

বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নারগিস সুলতানা ও মো. শামসুজ্জামান জানান, মালামালসহ ভোট গ্রহণের সঙ্গে জড়িতদের বহনের জন্য আলাদা করে নছিমনের ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো অবৈধ কিনা সে ব্যাপারে জানার জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তারা।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা) আল্পনা ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close