মো. দুলাল মিয়া, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা)

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার দুর্ঘটনার আশঙ্কা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া-নাইয়ারা-দক্ষিণ আলীয়ারা সড়কের উপর নির্মীত গুরুত্বপূর্ণ সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পড়ে আছে বছরের পর বছর। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচলের করছেন। অথচ ২০১৯ সালের দিকে সেতু দুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তর। ঢালুয়া, বক্সগঞ্জ ও সাতবাড়িয়া ইউপির অন্তত ২০টি গ্রামের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দুটি দিয়ে পার হয়। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে সেতু দুটি ধ্বসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢালুয়া ইউপির চৌকুড়ী বাজারে থেকে সাতবাড়িয়া সড়কের নাইয়ারা গ্রাম নামক স্থানে নাইয়ারা সেতু। ওই সেতুর ওপর বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। ওই সব গর্তেও উপর কাঠের তক্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ সহ যানবাহন চলাচল করছে। একই সড়কের এক কিলোমিটারের মাথায় বক্সগঞ্জ ইউপির দক্ষিণ আলীয়ার থেকে সাতবাড়িয়া বাজারে ঢুকার আগে সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সেতুটিতেও গর্তের সৃষ্টি হয়। ওইসব গর্ত ইটের কংক্রিট দিয়ে ভর্তি করে ঢালাই দেয়। এটি দিয়েও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সেতুগুলির প্রতিটি পিলারে পাঠল দেখা দিয়েছে। এ সব সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পড়ে আছে বছরের পর বছর।

এ বিষয়ে নাইয়ারা গ্রামের আবুল খায়ের বলেন, ‘এ সেতুটি গত ৫ বছর ধরে গর্ত হয়ে পড়ে আছে। তার ওপর কাঠের তক্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। যে কোন মুহূর্তে সেতুটি দশে পড়তে পারে। তাই আমি সেতুটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাই।’ সিএনজি চালক কালাম হোসেন বলেন, ‘এ সড়কের দুই মাথায় দুটি সেতু। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পড়ে আছে। প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এ উন্নয়ন মুখী সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত যেন নতুন সেতু করা হয়।’

সাতবাড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন বলেন, ‘মোটরসাইকেল নিয়ে যখন সেতুর ওপর দিয়ে যাই, তখন অনেক ভয় লাগে। এ সরকার অনেক উন্নয়ন করছেন। এটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এমপির নির্বাচনীয় এলাকা। আমি চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে অর্থমন্ত্রীর যেন এ সেতুগুলি নতুন করে নির্মাণ করে দেয়।’

চৌকুড়ী গ্রামের সাবেক ইউপির সদস্য শাহদাত হোসেন বলেন, দীঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পড়ে সেতুটি। এ সেতুর উপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ সহ যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি সির্মাণ হলে লাখ মানুষে দূভোগ কমবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নাইয়ারা সেতুর বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাতবাড়িয়া সেতুরও ড্রইংয়ের কাজ চলতেছে। বরাদ্দ পেলেই টেন্ডার দিয়ে নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করবো। এ দুটি ছাড়াও পুরো উপজেলায় ছোট বড় ২৫ টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। অল্প সময়ের ভিতর তাদেরও নির্মাণ কাজ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close