আবদুস সালাম বাবু, বগুড়া

  ০৩ আগস্ট, ২০২২

মুক্ত হলো টিয়া-মুনিয়াসহ তিন শতাধিক পাখি

টিয়া-মুনিয়াসহ ৩১৪টি পাখি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছিল বিক্রির উদ্দেশ্যে। তবে পুলিশের অভিযানে ওরা যেমন খাঁচামুক্ত হলো আবার মুক্ত আকাশে ডানা মেলেল। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে দুপচাঁচিয়া ডাকবাংলোতে অবমুক্ত হয়ে আকাশে উড়ল ফুলমাথা টিয়া ১৪০টি, ৪০টি লাল মাথার টিয়া, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং ৮৪টি দেশি চাঁদি ঠোট মুনিয়া পাখি।

একই সঙ্গে পাখিগুলো অবৈধভাবে সংরক্ষণের অভিযোগে আতোয়ার আলী (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আতোয়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার মৃত ওছিমুদ্দীন সাকিদারের ছেলে। সোমবার রাতে ডাঙাপাড়া এলাকায় ৩১৪টি বন্য পাখিসহ আতোয়ার আলীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে ডিসি।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম জানান, বিপন্ন ও বিপদাপন্ন এবং মহাবিপদাপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। দীর্ঘদিন থেকে দুপচাঁচিয়ায় বন্যপ্রাণী বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করে আসছিল মর্মে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। বগুড়া ডিবির অভিযানে সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ডাঙাপাড়া এলাকায় ৩১৪টি বন্য পাখি আতোয়ার আলীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি থেকে ৩১৪টি পাখি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি আতোয়ার আলী সাকিদারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে দীর্ঘ দশ বছর ধরে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হরেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী আটক করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রয় করে আসছিল।

প্রেস ব্রিফিংকালে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহমেদ নিয়ামুর রহমান, দুপচাঁচিয়া ইউএনও সুমন জিহাদী, সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, বগুড়া ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এবং দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে বন্যপাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষণ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ইউএনও সুমন জিহাদী।

পুলিশ সুপার আরো জানান, বন্য পাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সেই লক্ষ্য জেলা পুলিশ বগুড়ার এই ধরনের অভিযান চলামান থাকবে এবং বন্যপাখি ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। পরে উদ্ধার হওয়া টিয়া, মুনিয়াসহ ৩১৪টি পাখি অবমুক্ত করেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএমসহ কর্মকর্তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close