ক্রীড়া প্রতিবেদক
শিরোপা উৎসবের ম্যাচে বসুন্ধরার ড্র
গ্যালারিতে প্রায় সব দর্শকের গায়ে এক জার্সি! বুকে-পিঠে লেখা বসুন্ধরা কিংস-চ্যাম্পিয়ন। এমন উৎসবমুখর পরিবেশে দলটির শেষটা অবশ্য জয় দিয়ে হয়নি। কিন্তু তাতে আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতা বসুন্ধরার আনন্দ-উৎসবে ভাটা পড়েনি একটুও।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কাল চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে বসুন্ধরা। লিগে এ নিয়ে তৃতীয় ড্র করল দলটি। এর আগে টিম বিজেএমসি ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছিল তারা।
প্রথম পর্বে চট্টগ্রামের দলটিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বসুন্ধরা দ্বিতীয় পর্বেও বরাবরের মতো শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। চতুর্দশ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ডি-বক্সে ঢুকে দ্যানিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার শট ফিরে আসার তিন মিনিট পর এগিয়ে যায় দলটি। মার্কোস দি সিলভার শট ডিফেন্ডার মুফতা লাওয়ালের পাশ দিয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে জালে জড়ায়।
১৮ মিনিটে মোনায়েম খান রাজুর শট পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় চট্টগ্রাম আবাহনীকে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিরগিজস্তানের ফরওয়ার্ড দানিয়েল নিল আরমাহর পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান। ডি-বক্সে কিংসলে চিগোজিকে আনিসুর রহমান জিকো ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করলেও কাঙিক্ষত গোলের দেখা পায়নি বসুন্ধরা। ৬৬তম মিনিটে সোলেররার শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর তেমন কোনো সুযোগ পায়নি দলটি।
২৪ ম্যাচে ২০ জয়, তিন ড্র ও এক হারে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করল এবারই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে খেলতে আসা বসুন্ধরা। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পেছনে ফেলে অষ্টম স্থানে থেকে লিগ শেষ করল চট্টগ্রাম আবাহনী।
সেরা খেলোয়াড় : ড্যানিয়েল কলিনড্রেস
(বসুন্ধরা কিংস)
সেরা কোচ : অস্কার ব্রুজোন
(বসুন্ধরা কিংস)
সেরা গোলরক্ষক : আশরাফুল রানা
(শেখ রাসেল)
সর্বোচ্চ গোলদাতা : রাফায়েল উডোইন
(২২ গোল, শেখ রাসেল)
ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড : শেখ রাসেল
চ্যাম্পিয়ন : বসুন্ধরা কিংস
"