ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপযাত্রায় নেইমার
সবার আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল। আসন্ন বিশ্বমঞ্চে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দলের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছিল সেলেকাওরা। এবার সবার আগে বিশ্বকাপের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করে দিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ৩ ও ১০ জুন ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। দুটো ম্যাচেই নেইমার মাঠে নামবেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির ফুটবল কর্তারা।
নেইমারের বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই ছিল সংশয়। ফ্রেঞ্চ ক্লাসিকোতে চোট পেয়ে সার্জনের ছুরির নিচে অবধি শায়িত হতে হয়েছিল তাকে। সব শঙ্কা কেটে গেছে। কাল ফিটনেস পরীক্ষায় শতভাগ ফিট প্রমাণিত হয়েছেন পিএসজি ফরওয়ার্ড। ঘরের মাঠে ১৯৫০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ ট্রাজেডির ক্ষতে প্রলেপ দিতে ব্রাজিলের হেক্সা (ষষ্ঠ শিরোপা) মিশনে তিনিই প্রধান ভরসা। সঙ্গে কুতিনহো, ফিরমিনো, জেসুস, উইলিয়ানদের মতো ইউরোপিয়ান ফুটবল মাতানো তারকারা তো থাকছেনই।
২০০২ সালে সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর শিরোপা জয় দূরে থাক, ফাইনালেই আর উঠতে পারেনি সেলেকাওরা। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তো জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে চূর্ণ হয়ে স্বপ্নের সমাধী ঘটেছিল তাদের। সেই দুঃস্বপ্ন ভুলতে রাশিয়া বিশ্বকাপের ট্রফিটার কোনো বিকল্প হতে পারে না।
সেলক্ষ্যে সবার আগেই বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল সেলেকাওরা। অনুশীলনের জন্য তারা বেছে নিয়েছে নিজেদের দেশের টেরেসোপোলিসের গ্রানজা কোমারি ট্রেনিং কমপ্লেক্সকে। যদিও ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষের ব্যস্ততার কারণে এখনো সব ফুটবলারকে এক ছাদের নিচে আনতে পারেননি ব্রাজিল কোচ টিটে। দলের সঙ্গে নেইমার যোগ দিলেও ক্যাসেমিরো, মার্সেলো ও ফিরমিনো চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের কারণে এখনো ইউরোপে আছেন।
আসন্ন দুটো প্রস্তুতি ম্যাচকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ব্রাজিল ফুটবলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এডু গাসপার বলেছেন, ‘আমরা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের ম্যাচের ট্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি। এই মুহূর্তে প্রস্তুতি ম্যাচের দুটি দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।’
বড় ইনজুরি থেকে ফিরলেও অনুশীলনের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নেইমার। গ্রানজাতে হেলিকপ্টারে উড়ে এসেছেন তিনি। এখন তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দিকে বেশি নজর থাকবে বলে জানিয়েছেন গাসপারকে, ‘নেইমার এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। আশা করছি দ্রুতই সে সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে আমরা শুধু নেইমারকে নিয়েই ভাবছি না। তিতের পরিকল্পনা সবার কথা চিন্তা করেই করা হয়েছে।’
"