ক্রীড়া ডেস্ক
ছোট ম্যাচেও নতজানু পাকিস্তান
ফরম্যাট বদলালেও ম্যাচের ফলটা আর বদলালো না। নিউজিল্যান্ড সফরে একের পর এক ম্যাচে ধরাশায়ী হওয়াটা স্রেফ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই লজ্জার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার টি-টোয়েন্টিতেও নাকানি-চুবানি খেল সরফরাজ আহমেদের দল। গোটা সফরেই ব্যাটিংটা যেভাবে ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে, সেটার ব্যতিক্রম হয়নি সোমবারের ম্যাচেও। কাল ওয়েলিংটনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে মাত্র ১০৫ রানেই অলআউট হয়েছে তারা। সহজ লক্ষ্যমাত্রা পেয়ে নিউজিল্যান্ড জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ৭ উইকেট আর ২৫ বল অক্ষত রেখেই।
ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামের উইকেট পুরোপুরিই ব্যাটিং উপযোগী ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা সেই সুবিধা নিতে পারেননি। নির্দিষ্ট করে বললে নতুন বলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টিম সাউদি ও নবাগত সেথ র্যান্স দাঁড়াতেই দেননি সফরকারী টপ অর্ডারকে। সাউদি তুলে নেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফখর জামানকে, র্যান্স ফেরান উমর আমিনকে। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা পাকিস্তান আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে তারা। পাকিস্তানের সম্ভ্রম বাঁচাতে যা একটু লড়েছেন বাবর আজম ও হাসান আলি। ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারানো দলের সংগ্রহটা টেনেটুনে একশো ছাড়িয়েছে এ দুজনের কল্যাণে। বাবর-হাসান ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি! ১২ বলে তিন ছক্কায় ২৩ রান করেন হাসান। একশ স্ট্রাইক রেটে ৪১ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন বাবর।
কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় সোমবার ব্ল্যাকক্যাপসদের নেতৃত্ব দিয়েছেন টিম সাউদি। দিনটাকে তিনি স্মরণীয় করে রেখেছেন ৩ উইকেট তুলে নিয়ে। তার সমান উইকেট লাভ করেছের সেথ র্যান্সও। স্যান্টনার পেয়েছেন ২ উইকেট। আনারু কিচেন ও পার্ট টাইমার কলিন মুনরোর শিকার একটি করে।
নিউজিল্যান্ডের জবাবটা সাবলীল ছিল, সেটা বলা যাবে না। ৫৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। পাক বোলাররা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। বাঁ-হাতি পেসার রুম্মান রইস ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপসকে ফিরিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মারকুটে কলিন মুনরো ও অভিজ্ঞ রস টেলরের ৪৯ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় কিউইরা। মুনরো ৪৩ বলে ৪৯ এবং টেলর ১৩ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। চারে নামা টম ব্রুস করেন ২৬। বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
"