আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৮ জুলাই, ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না উ. কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বসার কোনো ইচ্ছা তার দেশের নেই। একইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ারও প্রতিও ‘হস্তক্ষেপ বন্ধ করা’র আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমন জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

কোওন জং গান নামের এই কূটনীতিক উত্তর কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার স্থগিত পারমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করতে একজন মার্কিন দূতের সিউল সফরের প্রাক্কালে তার পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এলো। ওই আলোচনার জন্য মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেস বাইগুনের এ সপ্তাহেই সিউল সফরের কথা রয়েছে। ওই সফরের প্রাক্কালে গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন বলেন, আগামী নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের আগে আবার বৈঠকে বসতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এই বৈঠক স্থগিত হয়ে যাওয়া পারমাণবিক আলোচনা আবার শুরু করতে সাহায্য করবে। এর পরই আলোচনার ব্যাপারে দফায় দফায় নিজেদের নেতিবাচক অবস্থানের কথা জানাতে শুরু করে পিয়ংইয়ং। গত শনিবার পিয়ংইয়ং জানায়, নতুন করে এ ধরনের কোনো বৈঠকের প্রয়োজন বোধ করছে না উত্তর কোরিয়া। কদিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার ফের একই ধরনের বক্তব্য এলো দেশটির কাছ থেকে।

গতকাল প্রকাশিত বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্প-কিম বৈঠক নিয়ে অপব্যাখ্যারও অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন। পরের বছর তারা ভিয়েতনামে বৈঠকে বসেন। ওই আলোচনা ভেঙে যায়। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে যথেষ্ট পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র কিংবা ব্যালেস্টিক মিসাইল দেওয়ার প্রস্তাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন কিম। ২০১৯ সালের জুনে দুই কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ এলাকায় তৃতীয়বারের মতো দেখা করেন ট্রাম্প ও কিম। ওই সময়ে তারা আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তবে অক্টোবরে এসে দুই পক্ষের ওয়ার্কিং লেভেলের বৈঠক ভেঙে যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close