স্বাস্থ্য ডেস্ক

  ০৯ মে, ২০২৪

ঘন ঘন জ্বর হতে পারে কিডনি রোগের লক্ষণ

নীরবে শরীরের ক্ষতি করতে শুরু করে কিডনি রোগ। জটিল এ রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না, অনেকেই সহজে তা বুঝতে পারেন না। আর যখন বুঝতে পারেন তখন হয়তো চিকিৎসার মাধ্যমে আর কিছুই করার নেই। তাই কিডনি রোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ বা লক্ষণ আপনার অবশ্যই জানা উচিত।

গরম হোক কিংবা শীতকাল পানি ঠিকমতো না পান করলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে। কোনো ধরনের ক্রনিক অসুখ না থাকলে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা আবশ্যক। কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত হয় কিন্তু এই একটা ভুলেই।

কিডনিতে সমস্যা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিডনি বিকল হয়ে গেলে মৃত্যুর ঝুঁঁকিও বাড়ে। খাওয়া-দাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ কিছু সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধের ব্যবহারের কারণে কিডনিতে পাথর জমে।

কিডনিতে পাথর জমলে ভয়ের খুব বেশি কারণ না হলেও দ্রুত সেই পাথর শরীর থেকে বের না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। এই সমস্যা আপনার মূত্রনালির যেকোনো অংশকে প্রভাবিত করতে পারে।

প্রস্রাবের রং হলুদ থেকে লালচে হলে তা কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। এ রকম সমস্যা হলে আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। জেনে নিন আরো কী কী লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হবেন-

কিডনিতে পাথর জমলে পিঠের দিকে পাঁজরের দুই পাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। ব্যথা যদি দীর্ঘদিন ধরে হয়, তাহলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঘন ঘন তলপেটে যন্ত্রণাও কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘদিন এই ব্যথা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না।

কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে তা আরো চিন্তার। প্রস্রাবের সময়ে কোনো ধরনের কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ

করুন।

কিছু খেলেই বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরাও কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যা প্রায়ই হলে সতর্ক হোন।

জ্বর হলেই সাধারণ ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাল সংক্রমণ ভেবে এড়িয়ে যাবে না। কিডনিতে পাথর জমলেও জ্বর হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে পেটে তীব্র যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close