নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

রোজার ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ

পণ্য সংকট ও দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে নতুন নির্দেশনা * সুবিধা থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত

আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর- এ ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। রোজায় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। নির্দেশনায় বলা হয়, এসব পণ্য ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা যাবে। এ সুবিধার সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সময়মতো আমদানির অভাবে যাতে এসব পণ্যের সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে, সেজন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুযোগের ফলে বাকিতে পণ্য আমদানি করা যাবে। এখন ব্যাংকগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খুললে পণ্য সময়মতো চলে আসবে। এতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিশ্চিত হবে।

এর আগে জানুয়ারির শুরুতে রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে তিনি বলেছিলেন, ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। এর থেকে উত্তরণে অন্তত ৬টি পণ্য আমদানিতে যেন পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করা হয়, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হবে। পণ্যগুলো হলো- ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর। গত বছরও ৮টি পণ্যের ক্ষেত্রে এ অনুরোধ করা হয়েছিল। সার্বিকভাবে আমদানি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ৭-৮ মাস ধরেই চিনি আমদানি একটু কম ছিল। যেমন ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে, ব্রাজিল থেকে আনতেও কিছু বাধা ছিল। এখন নতুন করে লোহিত সাগরের চ্যানেলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা কাটাতে চেষ্টা চলছে।

রমজান উপলক্ষে কতটা বাড়তি আমদানি করতে হবে- এমন প্রশ্নে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, সাধারণ সময়ে কিছু পণ্যের যে চাহিদা থাকে, রমজানে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। বেশিরভাগ পণ্যই দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি চাহিদা থাকে। আর সারা বছরে খেজুরের যে চাহিদা তার অর্ধেকটাই লাগে রমজানে। শুল্ক বাড়ার কারণে খেজুর আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। শুল্ক কমাতে কিছুদিন আগে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য বন্দরে আনা খেজুরও ব্যবসায়ীরা খালাস করছেন না। বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, রমজানের প্রথম ৭ দিন ভোক্তারা একটু বেশি কেনাকাটা করেন। এ কারণে তখন দাম একটু বেশি হয়ে যায়। ভোক্তাদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। রোজার প্রথম কয়েকটা দিন যাওয়ার পর দাম কমে আসে, স্থিতিশীল হয়ে যায়। আগে কিনলে ক্রেতারা লাভবান হতে পারবেন না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close