কাজী আবুল মনসুর, চট্টগ্রাম

  ০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

চট্টগ্রামে ১৬ আসনে সহিংসতার শঙ্কা

আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রে টানটান উত্তেজনা * ১২৬ প্রার্থীর মধ্যে সক্রিয় ৮৫ জন

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসন ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, বাঁশখালি ও সাতকানিয়ায় বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। উত্তর চট্টগ্রামের মিরসরাই আসন ঘিরে দেখা দিয়েছে নানা টানাপড়েন। এরই মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেলের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর চট্টগ্রাম-১১ আসনে বন্দর-পতেঙ্গা আসনেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ লতিফের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের সমর্থকদের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ আসনের একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে এবার ১২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে নেমেছেন। তবে সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন ৮৫ জনের মতো প্রার্থী। বেশির ভাগ আসনে ভোটের মাঠে চাঙ্গা আওয়ামী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রায় প্রতিটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বড় অংশ। অবস্থাটা এখন এমন, প্রায় সব আসনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ। রয়েছে নানামুখী স্থানীয় দ্বন্দ্ব। আছে সংঘর্ষের আশঙ্কা।

১৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনের নৌকার প্রার্থীরা কোনো প্রকার টেনশন ছাড়াই দিন কাটাচ্ছেন। এসব আসনে নির্বাচনী ঢামাডোল অনেকটা কম। চট্টগ্রাম-৬ রাউজানের ফজলে করিম, চট্টগ্রাম-৭-এর হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনের মহিবুল হাসান ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাইফুজ্জামান চৌধুরীর জয় অনেকটা আগেভাগেই নিশ্চিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাকি ১২টি আসনের মধ্যে বেশির ভাগ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে চলছে নানা টেনশন ও উত্তেজনা। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না। ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিজেরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় কি না- এমন আলোচনা চলছে সর্বত্র।

সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবউর রহমান রুহেলের (নৌকা) সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন (ঈগল)-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এছাড়া নির্বাচনের মাঠে আছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ (টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাতপাঞ্জা), সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ নুরুল করিম আফছার (একতারা) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আবদুল মান্না (চেয়ার) প্রতীক পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আলোচনায় রয়েছেন তিন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (তরমুজ) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (একতারা)। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী সনির সঙ্গে অপর আওয়ামী লীগার স্বতন্ত্র প্রার্থী তরমুজ প্রতীকের আবু তৈয়বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এছাড়া ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম (চেয়ার), ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (মোমবাতি), জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম চৌধুরী (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান (ঈগল) নির্বাচনের মাঠে আছেন। বর্তমান এমপি বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ফুলের মালা) নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এখানে আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতার (নৌকা) সঙ্গে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরীর (ঈগল) মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এছাড়া নির্বাচনী মাঠে আছেন জাতীয় পার্টির এম এ ছালাম (লাঙ্গল), ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্লাহ খাঁন (মোমবাতি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) নুরুল আনোয়ার (একতারা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোকতাদের আজাদ খান (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুর রহীম (চেয়ার) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নুরুল আক্তার (মশাল)।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের এস এম আল মামুনের (নৌকা) সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইমরান (ঈগল)-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এছাড়া নির্বাচনে অঅছেন তৃণমূল বিএনপির খোকন চৌধুরী (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ আকতার হোসেন (টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির দিদারুল কবির (লাঙ্গল), ইসলামিক ফ্রন্টের মো. মোজাম্মেল হোসেন (চেয়ার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (ডাব)।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (লাঙ্গল)-এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (কেটলি)-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এর বাইরে নির্বাচনে আছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দীন (টেলিভিশন), সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী (একতারা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ মুহাম্মদ হাফেজ আহমদ (চেয়ার), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের নাজিম উদ্দিন (সোনালী আঁশ) এবং ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মুক্তার আহমেদ (মোমবাতি)।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে অনেকটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (নৌকা)। তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন এমন আলোচনা সর্বত্র। এছাড়া জাতীয় পার্টির সফিকুল আলম চৌধুরী (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (সোনালী আঁশ), স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম (ট্রাক) এবং ইসলামমিক ফ্রন্টের সম জাফরউল্লাহ (চেয়ার) এখানে নির্বাচন করছেন।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের হাছান মাহমুদ (নৌকা) বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। এখানে তার সঙ্গে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবে নির্বাচন করছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আহমদ রেজা (চেয়ার), জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙ্গল), ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মোরশেদ আলম (একতারা) এবং তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ)।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে আসলে কার সঙ্গে কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলা মুশকিল। এখানে সমান তালে এগিয়ে চলছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম (কেটলি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি), জোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ (লাঙ্গল)। তবে এ আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এস এম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ মহিবুর রহমান বুলবুল (ডাব), ইসলামী ফ্রন্টের আবদুল নবী (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কামাল পাশা (আম), তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা (সোনালী আঁশ) এবং ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (চেয়ার)।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আওয়ামী লীগের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (নৌকা) বিপুল ভোটে জয়ের আশা করছেন। কারণ তার সঙ্গে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এখানে ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম (মোমবাতি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মিটল দাশ গুপ্ত (কুঁড়েঘর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন (হাতঘড়ি), জাতীয় পার্টির সানজীদ রশীদ চৌধুরী (লাঙ্গল) এবং তৃণমূল বিএনপির সুজিত সাহা (সোনালী আঁশ) নির্বাচন করছেন।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর) : স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম (ফুলকপি)-এর সঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা)-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এছাড়া এখানে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মো জয়নুল আবেদীন (চেয়ার), জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম (লাঙ্গল) স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ (কেটলি), সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান (একতারা), ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর ইসলাম বঈদী (মোমবাতি), জাসদের মো. আনিসুর রহমান (মশাল), তৃণমূল বিএনপির ফেরদাউস বশির (সোনালী আঁশ) এবং চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের এম আবদুল লতিফ (নৌকা)-এর সঙ্গে অপর আওয়ামী লীগার স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন (কেটলি)-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এছাড়া এখানে ইসলামিক ফন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মো. জয়নুল আবেদীন (চেয়ার), গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক (উদীয়মান সূর্য), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নারায়ণ রক্ষিত (আম) এবং সুপ্রিম পার্টির মহি উদ্দিন (একতারা) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর (নৌকা) সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী (ঈগল)-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এখানে ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এম এয়াকুব আলী (নোঙ্গর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কাজী মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (চেয়ার), বাংলাদেশ কংগ্রেস ছৈয়দ জয়নুল আবেদীন জেহাদী (ডাব), জাতীয় পার্টির নূরুচ্ছফা সরকার (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী (সোনালী আঁশ) নির্বাচন করছেন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্তফুলী) আওয়ামী লীগের সাইফুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা) প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভের আশা করছেন। এখানে তার সঙ্গে শক্ত কোনো প্রার্থী নেই। তবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আরিফ মঈন উদ্দীন (একতারা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মৌলভী রশিদুল হক (বটগাছ), ইসলামী ফ্রন্টের আবুল হোসেন (মোমবাতি) এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (চেয়ার)।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা)-এর সঙ্গে অপর আওয়ামী লীগার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর আবদুল জব্বার চৌধুরী (ট্রাক)-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এখানে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (লাঙ্গল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল হোছাইন (চেয়ার), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মোহাম্মদ আলী ফারুকী (ফুলের মালা), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ আইয়ুব (একতারা), ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের গোলাম ইসহাক খান (টেলিভিশন), এবং ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি)।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (নৌকা)-এর সঙ্গে অপর আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এম এ মোতালেব (ঈগল)-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এখানে ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ আলী হোসাইন (মোমবাতি), কল্যাণ পার্টির সোলাইমান কাসেমী (হাতঘড়ি), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ছালেম (লাঙ্গল), মুক্তিজোটের জসিম উদ্দিন (ছড়ি) এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ হারুন (মিনার) নির্বাচন করছেন।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তফিজুর রহমান চৌধুরী (নৌকা)-এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান (ঈগল)-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নানা কারণে বিতর্কিত বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজকে সরাতে একাট্টা হয়েছেন অনেকে। এ আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক (চেয়ার), স্বতন্ত্র প্রার্থীর আবদুল্লাহ কবির লিটন (ট্রাক), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির আশীষ কুমার শীল (কুঁড়েঘর), বাংলাদেশ কংগ্রেসের জিল্লুল করিম শরীফি (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মামুন আবছার চৌধুরী (আম), ইসলামী ফ্রন্টের মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান (বেঞ্চ) এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শওকত হোসাইন চাটগামী (মিনার) নির্বাচন করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close