বিনোদন প্রতিবেদক

  ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

না ফেরার দেশে অভিনেতা অলিউল হক রুমি

চলে গেলেন অভিনেতা অলিউল হক রুমি। গতকাল সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা ফারুক আহমেদ।

বরিশালের মানুষ, সে ভাষাতেই হাসাতেন-কাঁদাতেন রুমি। মাসখানেক আগে হঠাৎ করেই রুমির শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর থেকে শুরু হয় পৃথিবীতে বেঁচে থাকার এক ভিন্ন উপায়, সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে গতকাল সোমবার। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন এই দাপুটে জনপ্রিয় অভিনেতা।

বরিশালের বরগুনায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক। মা হামিদা হক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন রুমি। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। অভিনয়নৈপুণ্য দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে গেছেন। পর্দায় তার উপস্থিতি বাড়তি আনন্দ দিয়েছে দর্শকদের। অভিনয়ের পাশাপাশি কাজ করেছেন ইত্তেফাকে।

১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। গত কয়েক বছর এই অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতে বেশি অভিনয় করে আসছিলেন।

২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন রুমি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকআপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘ঢাকা মেট্রো লাভ’, ‘বাপ-বেটা দৌড়ের উপর’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ-৫’, ‘যমজ-৬’, ‘যমজ-৭’, ‘যমজ-৮’, ‘যমজ-৯’, ‘যমজ-১০’, ‘রতনে রতন চিনে’, ‘২০০ কদবেলী ইত্যাদি’, ‘সোনার শিকল’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘প্রেসিডেন্ট সিরাজউদ্দৌলা’, ‘আকাশ চুরি’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close