শুধুমাত্র উপস্থাপনা দিয়েই দর্শকের মন কতটা জয় করে নেওয়া যায়, যেন তারই প্রমাণ রেখেছেন দিলরুবা সাথী। স্যাটেলাইট চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’য়ের প্রিয় মুখ দিলরুবা সাথী। ‘তারকা কথন’, ‘গান দিয়ে শুরু’সহ বিশেষ বিশেষ দিবসগুলোতে সাথীর নান্দনিক উপস্থাপনা যেন সেই অনুষ্ঠানের প্রতি দর্শকের আগ্রহ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিত। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানের মানও বেড়ে যেত অনেকখানি।

এবার চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ ১৩ বছরের পথচলার ইতি টেনেছেন সাথী। আর কখনো চ্যানেল আইতে দেখা যাবে না দর্শকপ্রিয় এই মুখকে। দিলরুবা সাথী বলেন, ‘আমার জীবনের স্বর্ণালি দীর্ঘ ১৩টি বছর পার করেছি চ্যানেল আই পরিবারের সঙ্গে। যদিও এটা আমার চতুর্থ চাকরি ছিল। কিন্তু এই চাকরিতে এসেও যা দিয়েছি তার চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে কম পাইনি। ভালোবাসা আর সম্মানে আগলে থেকেছি, বিশ্বাস করতে শিখেছি চ্যানেল আই আমার পরিবার। ফরিদুর রেজা সাগর স্যার, শাইখ সিরাজ স্যার, আমীরুল ভাইসহ আমার অন্য সহকর্মীদের শাসন, স্নেহ এবং সহযোগিতায় এতগুলো বছর কীভাবে যে কেটে গেল, বুঝতেই পারিনি। তাদের সঙ্গে পথচলার ১৩ বছরের ইতি টানলাম কিন্তু সম্পর্কগুলো আগের মতোই থাকবে আমার চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে। ভরা থাক স্মৃতি-সুধায় হৃদয়ের পাত্রখানি।’

ছোটবেলায় শিশুশিল্পী হিসেবেও অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন সাথী। উপস্থাপনা ও অভিনয়ের বাইরে তিনি মডেলিংয়েও নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করছেন। ক্যানকা ডিভিডি, নোভা টেলিভিশন, স্মার্ট মেহেদি ইত্যাদি বিজ্ঞাপন চিত্রের মডেল হয়েছেন তিনি। দিলরুবা সাথী ‘হৈমন্তী’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেই দর্শকের নিকট বেশ সমাদৃত হয়েছিলেন। তার অভিনীত অন্য নাটকগুলোর মধ্যে ‘এইমাত্র পাওয়া খবর’, ‘কারে তুমি বাসো ভালো’, ‘ফাইন জামাই’, ‘অতৃপ্ত কামনা’ উল্লেখযোগ্যদ। ছোটবেলা থেকেই সাথীকে তার বাবা-মা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজের বিষয়ে সাপোর্ট দিয়ে আসছেন। যখন তার বয়স সাড়ে তিন বছর তখনই তাকে শিল্পকলা একাডেমিতে ভর্তি করে দেন নাচ শেখার জন্য। এরপর থেকেই নাচে পারদর্শী করে তোলেন তিনি নিজেকে।

"