বিনোদন প্রতিবেদক

  ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

কোটি পেরিয়েছে কোনালের ১০ গান

মিউজিক কেরিয়ারের সেরা সময় পার করছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কোনাল। কারো কারো মতে, এ মুহূর্তে দেশের এক নম্বর ফিমেল শিল্পীর নামও কোনাল। গেল রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া রাজকুমার সিনেমার রাজকুমার গানটি দিয়ে দর্শক হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন মিষ্টি কণ্ঠের এই শিল্পী। এর বাইরে ঈদের আরেকটি সিনেমার জন্যও গান গেয়েছেন কোনাল। নাটকের গানেও সরব উপস্থিতি ছিল জনপ্রিয় এই শিল্পীর কণ্ঠ।

‘রাজকুমার’ গানটি মুক্তির মাস পার হতে না হতেই ইউটিউবে ভিউ দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়া এই গানের ফেসবুক, টিকটকে হয়েছে লাখ লাখ রিলস। শিল্পী থেকে শুরু করে অনেকে আবার গানটি কাভারও করেছেন। এর মধ্যেই শোনা গেল, রাজকুমার সিনেমার গান ছাড়াও কোনালের গাওয়া আরো ৯টি গান কোটি ভিউর মাইলফলক অতিক্রম করেছে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তা জানিয়েছেন সময়ের আলোচিত ও গুণী এই সংগীতশিল্পী।

২০০৯ সালে রিয়্যালিটি শো চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ চাম্পিয়নের মুকুট জয় করে পেশাদার গানে যাত্রা শুরু হয় কোনালের। মুকুট জয়ের এক দিন পর প্লেব্যাক করেন। মায়ের জন্য পাগল সিনেমার সেই গানের সংগীত পরিচালক ছিলেন ইমন সাহা। ১৫ বছরে শতাধিক সিনেমার গান গেয়েছেন কোনাল। এখন তো ফিল্ম প্রযোজক, পরিচালক এবং সংগীত পরিচালকদের আস্থার একটি নাম এই শিল্পী। শুধু বিগত বছরেই সুরমা সুরমা, মেঘের নৌকা এবং ও প্রিয়তমার মতো তিনটি বিগেস্ট হিট ও ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয় গান পাওয়া গেছে কোনালের কাছ থেকে। একই বছরে ব্যাক টু ব্যাক তিন সুপারহিট গান উপহার দেওয়ার নজির নিকট অতীতে কোনো শিল্পীর ঝুলিতে নেই মনে করছেন সংগীতসংশ্লিষ্টরা।

এদিকে এসবকে আশীর্বাদ ও কঠোর সাধনার ফল হিসেবে মনে করে সংগীতের সামনের পথ চলতে চান কোনাল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শ্রোতারাই আমার সব, তারা আছেন বলেই গান গাই। তাদের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা আমার এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ও সাহস। বাংলাদেশের গানে অবদান রাখতে, নিজেকে বিকশিত করতেই কুয়েত থেকে চলে আসি। রিয়্যালিটি শোতে নাম লেখাই। নানা ধাপ পেরিয়ে, দেশের সংগীতের ৪ দিকপাল শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, আলাউদ্দিন আলী এবং সুবীর নন্দী ও বিশ্ব বাঙালীদের বিচারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করি। এরপর থেকে পেশাদার সংগীতে পথচলা শুরু। নানা আপস অ্যান্ড ডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কখনো মনোবল হারাইনি। বিশ্বাস ছিল সৃষ্টিকর্তা সব দেখছেন। কঠোর পরিশ্রম ও সাধনায় আজ এমন সাফল্যের দেখা পাওয়া, এটার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সেসব পরিচালক, প্রযোজক, সংগীত পরিচালক, গীতিকার-সুরকারদের প্রতি- যারা আমার ওপর শুরু থেকেই আস্থা রেখেছেন, দারুণ সব গানের অংশ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমিও সবার আস্থা-ভালোবাসায় গানে গানে সুন্দর একটা জীবন কাটাতে চাই। বাংলা গান দিয়েই বিশ্বে নিজেকে আরো বড় পরিসরে মেলে ধরতে চাই।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close