বিনোদন প্রতিবেদক

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

‘জীবনের যা কিছু অর্জন তা নিয়েই সন্তুষ্ট আমি...’

একুশে পদকপ্রাপ্ত জীবন্ত কিংবদন্তি নাট্যাভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক আবুল হায়াত আজ ৭৪ বছর পূর্ণ করে ৭৫-এ পা রাখতে যাচ্ছেন। ১৯৪৪ সালের আজকের দিনে মুর্শিদাবাদে মো. আবদুস সালাম ও শামসুন্নাহার বেগমের ঘর আলোকিত করে পৃথিবীর বুকে জন্ম নেন আবুল হায়াত। মুর্শিদাবাদের সেই আবুল হায়াতই আজকের কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াত, যিনি তার অভিনয় দিয়ে এ দেশের নাট্যাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন। দেশ-বিদেশে বাংলা নাটককে করেছেন সমাদৃত। গুণী এই নাট্যব্যক্তিত্ব আজ তার ৭৫’তম জন্মদিনে আরটিভিতে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ‘তারকালাপ’-এ অংশ নেবেন। এরপর পুরোটা সময়ই তিনি তার বাসাতেই কাটাবেন।

জন্মদিন প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘দেখতে দেখতে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় পেরিয়ে এসেছি। আমার জীবনে যা কিছু অর্জন তা নিয়েই আমি সন্তুষ্ট। আমার স্ত্রী শিরীন, আমার দুই সন্তান বিপাশা, নাতাশা, দুই মেয়ের জামাই তৌকীর, শাহেদ এবং তাদের সন্তানÑ এই নিয়েই তো আমার সুখের পৃথিবী। একজন বাবা হিসেবে আমি খুব সুখী একজন মানুষ। সবার দোয়া-ভালোবাসার মধ্য দিয়েই বাকি জীবন পার করে দিতে চাই।

নিজের জন্মদিনে আবুল হায়াত জানালেন, তার বড় মেয়ে বিপাশার জন্মের আগেই তারাশঙ্করের উপন্যাস ‘বিপাশা’ অবলম্বনে বড় মেয়ের নাম রেখেছিলেন। কারণ, তারা মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন প্রথম সন্তান যেন মেয়েই হয়। আল্লাহ তাদের সেই স্বপ্ন, আশা কবুল করেছিলেন। আবার পরবর্তীতে যখন নাতাশা হলেন তখন আবুল হায়াতেরই প্রয়াত বন্ধু ইকবাল আহমেদ ও তার স্ত্রী নাতাশার নাম রেখেছিলেন। বিপাশা এবং নাতাশা দুজনই যার যার কর্মক্ষেত্রে স্বনামে উজ্জ্বল। আবুল হায়াত ২০০৮ সালে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৫ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত হন। গত ঈদে রাবেয়া খাতুনের গল্পে ‘আপোষ’ নাটকটি নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়াও গেল ঈদে তার অভিনীত সাগর জাহান পরিচালিত ‘কথা রেখেছিলাম’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ এবং চয়নিকা চৌধুরীর ‘গল্পটি হতে পারতো ভালোবাসার’।

এদিকে আজ একইদিনে আবুল হায়াতের ছোট-মেয়ে নাতাশার বড় সন্তান কন্যা শ্রীষা’রও জন্মদিন। তাই শ্রীষাও আজ তার নানার সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে জানান আবুল হায়াত। জন্মদিনে আরো একটি বিষয় জানালেন আবুল হায়াত, আর তা হলো সাধারণত স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় স্কুলের হেডমাস্টার বয়স একটু কমিয়ে দেন। কিন্তু আবুল হায়াতের বেলায় তার বয়স কয়েক মাস কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে তার সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্মদিন ২৫ জুন। অনেকেই তাকে ভুল করে এই দিনেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close