প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
নাইজার থেকে সেনা সরাবে যুক্তরাষ্ট্র
গত বছর অভুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করে। ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের ভূমিকার অবসান ঘটিয়ে নাইজার থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জানা গেছে পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটির জান্তা সরকার যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার নাইজার থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পাশপাশি যুক্তরাষ্ট্র আগাদেজ নগরীর কাছে সাহারা মরুভূমিতে তাদের ড্রোন ঘাঁটি বন্ধ করে দিতে সম্মত হওয়ার খবরও দিয়েছে। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশ নাইজার জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ওই অঞ্চলে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে এতদিন যুক্তরাষ্ট্র নাইজারকে তাদের প্রাথমিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। নাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি সেনা রয়েছে। তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে যাবতীয় আনুষ্ঠনিকতা সম্পন্ন করতে কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে যাবে।
নাইজারের প্রধানমন্ত্রী আলী মাহামাম লামিনে জেইনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুর্ট ক্যাম্পবেলের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার সেনা প্রত্যাহারের ওই এ ঘোষণা দেয়।যে সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।
মাত্র ছয় বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র ১০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে নাইজারে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করে। যে ঘাঁটি পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ও ফ্রান্সের কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল।
"