নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

রিকশাচিত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের দৃশ্য

তুলে ধরেছেন শিল্পী এস এম মালেক

রিকশার পেছনে নানা রঙের ছবির দেখা যায়, যাকে রিকশাচিত্র বলা যায়। এতদিন রিকশাচিত্রে দেখা যেত বিভিন্ন সিনেমার নায়ক নায়িকার ছবি কিংবা প্রাকৃতি নানা চিত্র। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে দেখা মিলছে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের নানা চিত্র। এভাবেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলিতে প্রাণ হারানো আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ছবি রিকশা চিত্রে তুলে ধরেছেন নারায়ণগঞ্জের চিত্রশিল্পী এস এম মালেক।

মালেকের আঁকা সেই ছবিতে দেখা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা, আরো দেখা যায় পুলিশ গাড়ির ওপর থেকে নিহত ব্যক্তিকে নিচে ফেলে দিচ্ছে, রিকশায় করে আহত ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং এক পাশে আন্দোলনের একটা চিত্র তুলে ধরেন। মালেক বলেন, রিকশা চিত্র শিল্পীদের নিয়ে কুমিল্লায় এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে কর্মশালায় আমি প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলাম। কর্মশালায় আমি কোটা সংস্কার আন্দোলনে কিছু চিত্র তুলে ধরেছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে শহীদ সাইদ ও মুগ্ধর মতোই প্রাণ দিয়েছেন আরো অনেক শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ। পর্যায়ক্রমে কোটা সংস্কার আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের আরো গল্প ছবিতে তুলে ধরব। কোটা সংস্কার আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে।

মালেক আরো বলেন, রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ করলেই যে বাহনটি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে, সেটি হলো তিন চাকার বাহন রিকশা। বছরের পর বছর ধরে রিকশা চিত্রে শুধু আমাদের চলচ্চিত্র জগতের তারকা, ফুল, পাখি ও প্রকৃতিই স্থান পেয়েছে। এ রিকশা চিত্র আশির দশকে বেশ দাপটে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক ও সাস্কৃতিক পটপরিবর্তনের সাক্ষীও রিকশা চিত্রেও থাকা দরকার। ‘রিকশা চিত্রে আমাদের দেশের মানুষের কথা বলে, এ অনন্য শিল্পটি সম্পূর্ণভাবেই আমাদের। ইউনেস্কো ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্রকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সম্মান ও প্রাপ্তি।’

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় আমাদের বাড়ি। আমার বাবা বেবি টেক্সিরও অনেক নাম করা আর্টিষ্ট ছিলেন। আমার শৈশবে বাবার ছবি আঁকা দেখতে অনেক ভালো লাগত এবং বড় ভাই এস এ রহিম, মামা, চাচা বাবার স্টুডিওর শিষ্য- এরা সবাই রংতুলি দিয়ে ছবি আঁকত। তখন আমিও চিন্তা করতাম এদের মতো আমিও একদিন আর্টিস্ট হব। তাই স্কুলজীবনের পাশাপাশি বাবার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করি এবং আমার এ কাজের জন্য পুরস্কারও পেয়েছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close