বেড়া-সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
বেড়া-সাঁথিয়ায় টিসিবির পণ্য ক্রয়ে আগ্রহ নেই ক্রেতাদের
সাধারণত টিসিবি পণ্যের জন্য দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ক্রেতাদের। পাবনার বেড়া-সাঁথিয়া উপজেলায় এবার দেখা গেল ভিন্নচিত্র। টিসিবির কার্ডধারীদের পণ্য নিতে আগ্রহ নেই। ক্রেতা শূন্য এমন পরিস্থিতির জন্য চাল-ডালের সঙ্গে সয়াবিন তেল সরবরাহ না করার কারণকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সাঁথিয়ার করমজা উইনিয়নে তেল ছাড়া চাল ও ডাল বিক্রির সময় এ দৃশ্য চোখে পড়ে ।
জানা গেছে, বেড়া পৌরসভা ও উপজেলায় টিসিবির কার্ড রয়েছে মোট ২২ হাজার ১০৫টি ও সাঁথিয়া পৌরসভা উপজেলায় টিসিবির কার্ড রয়েছে মোট ১৯ হাজার ৬৭৮টি। যার মাধ্যমে কার্ডধারী ও নিম্ন আয়ের মানুষ সরকার নির্ধারিত স্বল্পমূল্যে ২ কেজি সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল পেয়ে থাকেন সাধারণত। তবে নভেম্বর মাসের সিডিউল মিস হওয়ায় ডিসেম্বর মাসে তেল ছাড়া কেবল চাল ও ডাল বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে বুধবার সাঁথিয়ার করমজা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রয়কৃত এসব পণ্যের প্যাকেজ মূল্য ২৭০ টাকা হলেও ভুক্তভোগীদের তেমন আগ্রহ নেই। এ সময় কথা হয়, ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলেয়া খাতুন (৩০), আব্দুর রহিম (৪০), ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহজাহান আলী (৪৫) সাথে তাঁরা বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ঊর্ধ্বগতি। কম দামে সরকারের টিসিবির পণ্য পেয়ে আমরা অনেক খুশি হতাম । কিন্তু তেল না দেয়ায় সমস্যা হয়ে গেল। তেল নেই জেনে তাদের অনেকেই পণ্য না কিনে ফেরত যাচ্ছেন। সরকারের কাছে অনুরোধ টিসিবির পণ্য তালিকা থেকে তেল যেন বাদ না দেয়া হয়। ক্রেতার অভাবে বিকাল পর্যন্ত বসে থেকেও অর্ধেক পণ্য বেঁচতে পারেননি টিসিবির ডিলাররা। একই অবস্থা পাশের বেড়া উপজেলার চাকলা, হাটুরিয়া-নাকালিয়া, কৈটলা ইউনিয়ন পরিষদেও, সেখানেও ভিড় ছিল না।
করমজা ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নে এক হাজার ৯০০ জন টিসিবি কার্ডধারী আছেন। গত সোমবার প্রথম দিনে তেল না থাকায় প্রায় ৫০০ জনের কাছে পণ্য বিক্রি করেছি। এর আগে দুই লিটার করে তেল দিত। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লোকজন টিসিবির পণ্য নিত। এবারই টিসিবি তেল দেয়নি। তাই এবার লাইন নেই, গ্রামে গ্রামে খবর দেয়ার পরও লোক খুব কমই আসছে। দু-দিন যাবৎ দিলাম তারপরও লোক কম। আমার পণ্য এখনও রয়ে গেছে। এখন ট্যাগ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যরা আশপাশের লোকদের কাছে বিক্রি করে দিতেও পারে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম জানান, এটি সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সিডিউল অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। তিনি আরো বলেন, এখন তেল দেয়নি। পরবর্তীতে হয়তো দিতেও পারে।
পিডিএস/এমএইউ