প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ব্রিটেনে বাংলাদেশিদের আবাসন সংকট চরমে

ব্রিটেনে আবাসন সংকটে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ। বছরের পর বছর ধরে এ সমস্যা নিয়ে ভুগছেন কয়েক লাখ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি। চার-পাঁচ জনের পরিবার নিয়ে অনেকে চার বছরের বেশি সময় ধরে হোস্টেলের এক রুমে বসবাস করে আসছেন। আবার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে নিয়ে এক রুমে দিন পার করেন অনেক মা-বাবা। গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদন ছেপেছে কানাডার পত্রিকা বিসনেস নিউজ নেটওয়ার্ক-বিএনএন।

ব্রিটেনে প্রায় ৩৪ শতাংশ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সরকারি সামাজিক আবাসন প্রকল্পে বসবাস করেন, যা ব্রিটিশ-ভারতীয়দের তুলনায় সাতগুণ বেশি। আর সামাজিক আবাসনে বাস করেন প্রায় ১৬ শতাংশ ব্রিটিশ-পাকিস্তানি। জাতিগত গোষ্ঠী হিসেবে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা দেশটিতে সবচেয়ে জনাকীর্ণ পরিবেশে বসবাস করছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ বাংলাদেশি এমন পরিস্থিতিতে বাস করছেন। এটা সব ব্রিটিশ-এশিয়ানের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। যা ২৩ শতাংশ।

ওএনএসের (অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস) জরিপ অনুসারে, যুক্তরাজ্যে ঘরভাড়া ৭ বছরের মধ্যে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ কর্মীদের তুলনায় ভারতীয় কর্মচারীদের আয় বেশি, যা প্রায় প্রতি ঘণ্টায় ১৭ দশমিক ২৯ পাউন্ড। কিন্তু বাংলাদেশিরা ঘণ্টাপ্রতি আয় করেন মাত্র ১১ দশমিক ৯০ পাউন্ড। কাউন্সিলের (বারা) ঘরের জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু অপেক্ষমাণ তালিকায় কেটে যায় ১০ বছর। তবু মিলছে না সুযোগ। এ ছাড়া অনেক হোস্টেলে রান্নার ব্যবস্থা নেই; একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হয় ১০ জনকে।

ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির আবাসন ও মর্টগেজ পরামর্শক আবদুুল কাদির এ বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বেশির ভাগ বাংলাদেশি ব্রিটেনে কম বেতনে চাকরি করেন। তাই তাদের ওপর আবাসন সংকটের প্রভাব মারাত্মক। প্রাইভেট রেন্টেড ঘরের ক্ষেত্রে ভাড়া কয়েকগুণ বেশি।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর অহিদ আহমদ বলেন, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও কাউন্সিল টেক্সের অব্যাহত বৃদ্ধি জনজীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। আবাসন সংকট মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close