হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

গ্রামীণ মেলায় মুখরোচক খাবার

ভোজন রসিক হিসেবে বাঙালির সুনাম রয়েছে বিশ্বব্যাপী। তবে কালের বিবর্তনে পাল্টেছে গ্রামবাংলার চিরাচরিত কিছু খাবারের কদর। সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবারের তালিকায় কটকটি, টানা, চানাচুর, নিমকি, মুড়ালি ছিল অন্যতম। এখন সময় পাল্টেছে, গ্রামীণ মেলার মুখরোচক আর সচরাচর দেখা যায় না।

কয়েক দশক আগেও গ্রামের হাট-বাজারে দেখা যেত এসব খাবারের পসরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার কাছে এসব মুখরোচক খাবার সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আর দেখা যায় না সচরাচর। দাদা-নানার হাত ধরে বাজারে আসা নাতি-নাতনির প্রধান আবদারই থাকত চানাচুর, কটকটি, নিমকি, মুড়ালি ইত্যাদি খাবার। আধুনিক যুগে ভিনদেশি খাবারের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খাবারগুলো।

শুধু গ্রামের বিভিন্ন মেলায় দেখা মিলে এসব খাবারের। দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করলেও চানাচুর, নিমটি, কটকটি, মুড়ালি কেনার মধ্য নিয়ে পূর্ণতা পায় মেলা দর্শনের।

গত শুক্রবার মানিকগঞ্জে হরিরামপুর উপজেলার তন্ত্রখোলা গ্রামে শুকুর আলী দরবারে ওরস উপলক্ষে মেলায় দেখা মিলে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এ খাবারের দোকান। শিকারীপাড়া ইউনিয়নের চরবাগুরী গ্রামের অভি সরকার জানান, এখন আর চানাচুর, নিমটি, কটকটি, মুড়ালি বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয় না বললেই চলে। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন মেলা উপলক্ষে এসব খাবার বিক্রি করে থাকি।

মুড়ালি কিনতে আসা হরিরামপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মাসুদ খান জানান, গ্রামের মানুষের কাছে নিমটি, মুড়ালি, কটকটি, চানাচুর একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাজারে আকর্ষণীয় মোড়কে বিভিন্ন খাবার পাওয়া গেলেও আমাদের কাছে গ্রামীণ এসব খাবারগুলো ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এক যুগ আগেও এসব খাবার প্রতিদিন বাজারে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর এসব খাবার মেলা ছাড়া পাওয়া যায় না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close