নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

স্কুলের ফি দিতে দিতে অভিভাবকরা নিঃস্ব হয়ে যান

- রাশেদা কে চৌধূরী

বিদ্যালয়ের ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অবৈতনিক হলেও মা-বাবাকে সন্তানদের জন্য ৭১ শতাংশ শিক্ষা ব্যয় করতে হয়। বিশেষ করে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুলের মতো প্রথম সারির স্কুলগুলোর ফি দিতে দিতে অভিভাবকরা নিঃস্ব হয়ে যান।

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘টেকসই শান্তির জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, এসব স্কুলের ফি দিতে দিতে মা-বাবাদের পকেটের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাদের উচিত ফি কমিয়ে শিক্ষাকে সহজ করা। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নীতিমালা মেনে চলেন। কোচিং বাণিজ্য থেকে বের হয়ে আসেন।’

প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষকরা বলেন, কোচিং বাণিজ্যের জন্য শিক্ষকরা একা দায়ী নন। অভিভাবকরা মনে করেন কোচিংয়ে না পড়ালে ছেলেমেয়েরা ভালো ফল করতে পারবে না। এ ধরনের মানসিকতা থেকে বের না হলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হবে না।

ঢাকার বড় বড় স্কুলকে ডোনেশন নেওয়া থেকে নিবৃত্ত হওয়ার আহ্বান জানালে শিক্ষকরা জানান, যারা ডোনেশন নেওয়ার বিপক্ষে নীতিমালা করছেন তারাই আবার সন্তান ভর্তির জন্য তদবির করতে আসেন। এতে নীতিমালা কাজে আসে না।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, অ্যাডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের ডিপিএম সামছুন নাহার প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close