কার ঘরে যাবে সোনার ট্রফি?
রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে এবারের বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠানের জমকালো আয়োজন শেষ হয়েছে। অল্প কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে ফাইনাল ম্যাচ।
খেলা শেষে জানা যাবে শেষ পর্যন্ত সোনার ট্রফিটা কার ঘরে যাচ্ছে। রোববার রাত নয়টায় ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আসরের পর্দাও নামবে। ফুটবলবোদ্ধারা মনে করছেন, ফাইনাল ম্যাচে মধ্যমাঠ যার দখলে থাকবে শিরোপা যাবে তাদেরই ঘরে।
ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচটিই নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। লড়াইটা মূলত মধ্যমাঠেই হবে। একদিকে ক্রোয়েশিয়ার রেকিটিচ-মডরিচ অন্যদিকে ফ্রান্সের পগবা-এনগোলা কন্তে। এবারের আসরে মধ্যমাঠে আলো ছড়িয়েছে দুদলই। মধ্যমাঠে সবচেয়ে আলো ছড়িয়েছেন কন্তে ও মডরিচ। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ৪৮ বার বল ছিনিয়ে নিয়েছেন তারা। এবারের আসরে এর চেয়ে বেশি সংখ্যকবার প্রতিপক্ষ ফুটবলারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে পারেননি কেউ।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার ইভান রেকিটিচ। ৪০ বার প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে আটকে দিয়েছেন তিনি। কম যান না পল পগবাবও। তার কাছে এসে ৩৮ বার বল হারিয়েছেন প্রতিপক্ষ আক্রমণভাগ। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি। অতএব, বোঝাই যাচ্ছে, আজ মধ্যমাঠ যার দখলে থাকবে শিরোপা জিতবে সেই দলই।
শক্তির বিচারে ফাইনালের লড়াইয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকবে ফ্রান্স। তবে হেলা করার সুযোগ নেই ক্রোয়েশিয়াকে। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ খেলছে ক্রোয়েশিয়া।
এই দু’দলের এটা ষষ্ঠ সাক্ষাত। এর আগের পাঁচ লড়াইয়ে কখনো হারেনি ফ্রান্স। তিনটি জয় ও দুটি ড্র পরিসংখ্যানটা নিজেদের করে নিয়েছে ফরাসিরা। বিশ্বকাপে এর আগে একবার মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালের সেমিফাইনালে সেবার ২-১ গোলে জিতেছিল ফ্রান্স।ইউরো ২০০৪ একই গ্রুপে পড়েছিল দল দুটি। ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল সে ম্যাচ।
ফ্রান্স একাদশ : হুগো লরিস, স্যামুয়েল উমতিতি, রাফায়েল ভারানে, লুকাস হার্নান্দেজ, বেনজামিন পাভার্দ, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, এনগোলা কন্তে, পল পগবা, অলিভিয়ের জিরুদ, মাতুইদি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ক্রোয়েশিয়া একাদশ : ড্যানিয়েল সুবাসিচ, সিমে ভ্রাসালকো, ইভান স্ট্রিনিচ, ডেজান লভরেন, ডোমাগজ ভিদা, ইভান রাকিটিচ, লুকা মডরিচ, ইভান পেরেসিচ, ব্রোজোভিচ, মারিও মানজুকিচ ও আনতে রেবিচ।
পিডিএসও/তাজ