পিএসএলে দুর্দান্ত মুস্তাফিজ
বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পুরোনো মুস্তাফিজ ফিরেছেন চেনা ছন্দে। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) নিজের তৃতীয় ম্যাচেও বল হাতে দুর্দান্ত মুস্তাফিজ। দারুণ অভিষেকের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। সোমবার রাতে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন।
করাচি কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিংয়ে মেডেন নিয়েছেন ১টি। রান খরচ করেছেন মাত্র ২২। আর উইকেট পেয়েছিলেন প্রথম স্পেলের প্রথম বলেই। আজও তার বোলিংয়ে ডট বলের সংখ্যা দুই অঙ্কে ছুঁয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১৪ ডট বল দেওয়া মুস্তাফিজ আজ ডট বল করেছেন ১৩টি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যেভাবে মুস্তাফিজ আবির্ভাব হয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই মাতিয়ে যাচ্ছেন পিএসএল।
লাহোরের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম পাওয়ার প্লে’র পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন। আগের ওভারের শেষ বলে জোন ডেনলি সাজঘরে ফিরেন। নতুন ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে থিতু হতে দেননি মুস্তাফিজ। একটু ভেতরে ঢোকানো বলে এলবিডব্লিউ হন বাবর। পরের ব্যাটসম্যান কলিন ইনগ্রাম ওভারের বাকি পাঁচ বলে ছিলেন দর্শক হয়ে। কাটার আর স্লোয়ারে ইনগ্রামকে বিভ্রান্ত করেন বাঁহাতি এ পেসার।
সপ্তম ওভারেও মুস্তাফিজ ছিলেন দারুণ। এক বাউন্ডারিতে খরচ করেন ৭ রান। ১৬তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ। ওই ওভারে খরচ করেন ৯ রান। আর ১৮তম ওভারে অর্থাৎ নিজের শেষ ওভারে দেন ৬ রান। শেষ বল করতে গিয়ে দুটি ওয়াইড দেন। অতিরিক্ত দুটি রান না হলে তার বোলিং যে আরও দুর্দান্ত রূপ পেত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লাহোর শেষ ৫ ওভারে তুলে ৬৪ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের দুই ওভারে পায় মাত্র ১৫ রান।
মুস্তাফিজের মতোই বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন সুনীল নারিন। ডানহাতি এ স্পিনার ৪ ওভারে ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া লাহোরের অন্যান্য বোলাররা ছিলেন বেহিসেবী। সোহেল খান ৪৫, শাহেন শাহ আফ্রিদি ৩৯ ও ইয়াসির শাহ ২৫ রান ব্যয় করেন।
সব মিলিয়ে করাচি কিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলে ১৫৯ রান। জবাবে ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় লাহোর। ব্যাটিং ব্যর্থতায় টানা তিন ম্যাচ হারলো মুস্তাফিজদের দল। ২৭ রানের দারুণ জয় তুলে নেয় করাচি।
পিডিএসও/হেলাল