reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

দেশবাসীর পাশে দাঁড়াবে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী : কামাল

গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এ মুহূর্তে দেশবাসীর পাশে দাঁড়াবে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। অতীতে তারা যেভাবে একটা নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। সেই ঐতিহ্যকে তারা ধরে রাখবে। এখন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের ‘পরিবেশ’ সৃষ্টি হবে। সোমবার সারাদেশ সেনা মোতায়েনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

ড. কামাল বলেন, ‘আজকে সেনাবাহিনী এসেছে। দেশে নিরাপদ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতি তাদের কাছে অতীতের মতো গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা প্রত্যাশা করে। সারাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির কঠিন দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ওপর ন্যস্ত। আমরা আশা প্রকাশ করছি, এ মুহূর্তে দেশবাসীর পাশে দাঁড়াবে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। অতীতে তারা যেভাবে একটা নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। সেই ঐতিহ্যকে তারা ধরে রাখবে।’

বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোটের লড়াইয়ে নামা কামাল আরো আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন, সেই সঙ্গে তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন। তফসিল ঘোষণার পরও পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতার-হয়রানির অভিযোগ করে আসছিলেন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তারা আশা করছিলেন, সেনাবাহিনী নামলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।

সোমবারও বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরা হলে কামাল বলেন, ‘এখনো কিছু ঘটনা ঘটছে, এটা একদমই অপ্রত্যাশিত। সেনাবাহিনীর একটা অতীতে ইতিহাস আছে। আমরা আশা করি, তারা নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; তিনি দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলে দুদিন প্রচার চালিয়ে সোমবারই ঢাকায় ফেরেন। সংবাদ সম্মেলনে কামালের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এতে বলা হয়, নির্বাচনের মাঠে ‘একতরফা সশস্ত্র হামলার’ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পাহাড় জমলেও কার্যকর উদ্যোগের অভাবে পরিস্থিতির কাক্সিক্ষত উন্নতি ঘটেনি। ‘নির্বাচন কমিশন কোনো মতেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির অন্তরায় হিসেবে চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারে না। সব ধরনের সাংবিধানিক সুযোগ ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা কেন সক্ষম হচ্ছে না, সে প্রশ্ন তাড়া করছে সচেতন দেশবাসীকে।’

তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রায় সাত হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কামাল।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি সম্ভাব্য পর্যবেক্ষকদের জন্য সরকার কর্তৃক সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা অবিলম্বে দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

ঢাকার ফকিরাপুলের জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিকউল্যাহ, মোশতাক আহমেদ, জাকারিয়া চৌধুরী, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া সমন্বয়ক লতিফুল বারী হামিম, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ড.কামাল,সংবাদ সম্মেলন,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট,সেনাবাহিনী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close