reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়া ভালো নাকি খারাপ

ছবি : সংগৃহীত

কিশমিশ বা কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। এটিকে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়। কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিশমিশ খেলে মিলবে বেশ কিছু উপকারিতা। কিশমিশ ভেজানো পানিরও রয়েছে অনেক গুণ। প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে ভেজানো এটি। হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ভেজানো কিশমিশ বোরন এবং ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে হাড়ের শক্তি বাড়ায়। জেনে নিন আরও বিস্তারিত।

লিভার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণে অনেক সময় লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ক্ষেত্রে ডিটক্সিফিকেশনের জন্য আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন। একটি চমৎকার ডিটক্সিফিকেশন পানীয় হচ্ছে কিশমিশ ভেজানো পানি। লিভারের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে এবং আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এই পানি।এছাড়া কিশমিশে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার লিভার থেকে বেশি পিত্ত বের করে।

কিশমিশে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে এবং এগুলো ভিজিয়ে রাখলে যৌগগুলো আরও বেশি উৎকৃষ্ট হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে, যা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ থেকে দূরে রাখে।

কিশমিশ প্রাকৃতিকভাবে আয়রন সমৃদ্ধ, তবে এতে এমন যৌগও রয়েছে যা আয়রন শোষণকে বাধা দিতে পারে। কিশমিশ ভিজিয়ে রাখলে এই যৌগগুলোর মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, সম্ভাব্যভাবে আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণকে উন্নত করতে পারে।

কিশমিশে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা শরীরে সঠিক তরল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ইলেক্ট্রোলাইট স্নায়ু ফাংশন, পেশী সংকোচন এবং হাইড্রেশন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কিশমিশের পানি খেলে ঘামের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ হয়।

ভেজানো কিশমিশ প্রাকৃতিক খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি বড় উৎস, যা প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

কিশমিশে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজসহ প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, যা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে। কিশমিশ ভেজানো পানি শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে এবংসারাদিন সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে।

সুস্থ অন্ত্র সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিশমিশের পানিতে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে এবং এতে উচ্চ ক্যালসিয়াম রয়েছে। প্রতিদিন ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে হাড় মজবুত ও সুস্থ থাকে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কিশমিশ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close