reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

ইকুয়েডরে অপরাধী চক্রের সহিংসতায় নিহত ১০

ছবি : সংগৃহীত

লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে অপরাধী চক্রের সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুই কর্মকর্তাও রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও তিনজন। পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

ইকুয়েডরে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত রোববার (৮ জানুয়ারি) হোসে অ্যাডলফো মাসিয়াস নামে দেশটির অপরাধী চক্রের এক নেতা কারাগার থেকে পালিয়ে যান।

মাদকপাচার ও খুনসহ সংঘবদ্ধ অপরাধের দায়ে তার ৩৪ বছরের সাজা হয়েছিল। এ ঘটনার পরদিন সোমবার (৯ জানুয়ারি) ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ও রাত্রীকালীন কারফিউ ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া। কিন্তু এরপরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বরং বিশৃঙ্খলা আরও বেড়েছে। দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে অপরাধী চক্রগুলো। এই পরিস্থিতিকে ‘অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত’ বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট নোবোয়া।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পুলিশ জানায়, বন্দর নগরী গুয়োকিলে অপরাধ চক্রের হামলায় আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও তিনজন আহত হয়। পুলিশ আরও বলেছে, নোবোল শহরে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘সশস্ত্র অপরাধ চক্র’ নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এরপর দেশজুড়ে ও বেশ কয়েকটি জনাকীর্ণ কারাগারে সন্ত্রাসী হামলা চালায় তারা।

অপরাধ চক্র মঙ্গলবারও বেশ কয়েকটি শহরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও জিম্মি করে। এ ছাড়া সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে গুয়োকিল শহরের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন স্টুডিওতে হামলা চালায় দুর্বত্তরা। এ ঘটনায় ১৩ জন বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ৩৬ বছর বয়সী ড্যানিয়েল নোবোয়া। তিনি মাদক-সংশ্লিষ্ট সহিংসতা দূর করার অঙ্গীকার করেন। সামরিক অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রগুলোকে ‘প্রতিহত’ করার নির্দেশ দেন। এই সংগঠনগুলোকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ ও ‘যুদ্ধবাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল’ হিসেবে অভিহিত করেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নিহত,অপরাধী চক্রের সহিংসতা,ইকুয়েডর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close