তার মা খালেদা মনযূর-এ-খুদা ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক, লেখক,গায়িকা, শিক্ষক, সমাজসেবী ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা। ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার।

এরকম একটি প্রথিতযশা সাংস্কৃকিত পরিবারের বলয়ে যার বেড়ে ওঠা তিনি তো সংস্কৃতিমনা হবেনই। পাঠক বলছি একুশে পদক বিজয়ী খালেদা মনযূর-এ-খুদার কন্যা সঙ্গীতশিল্পী নওশীন মনযূর এ-খুদার কথা। তৃতীয় শ্রেনীতে পরার সময়ই গানের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয় নওশীন মনযূর এ-খুদার। সেই সময় ক্ল্যাসিক গানের তালিম নেন ওস্তাদ ইয়াসিন খানের কাছে। এরপর বুলবুল ললিতকলা থেকে ওস্তাদ ফজলুল হকের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালিম নেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ আব্দুল আহাদ, ওস্তাদ কাদেরী কিবরিয়ার কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীতে হন সিদ্ধহস্ত।

এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান দেশের বাইরে। সেখানে নর্থ আমেরিকার এথনিক টেলিভিশন চ্যালেনে গান শুরু করেন। প্রায় ৫০টি স্টেটে নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশী কনভেনশনে গান করেন তিনি। মন্ট্রিয়লে ২০০০ সালে একটি কনভেনশনে গান গাওয়ার সময় নজরে পরেন অডিও প্রযোজকের। প্রস্তাব পান মৌলিক গান করার। সেই থেকে শুরু। প্রথম পর্যায়ে ১২ টি মৌলিক গান করেন এই শিল্পী। সেই গানগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর শ্রোতাদের ব্যপাক সাড়া পেয়ে তৈরি করেন আরও ৯ টি মৌলিক গান। দ্বৈত গান করেছেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কুমার শানু , রূপঙ্কর বাগচীর সাথে। যে গানগুলো দুই বাংলায় বেশ আলোড়ন তোলে। সম্প্রতি আরও ১২ টি মৌলিক গান তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত এই শিল্পী।

এই গানগুলোর মধ্যে আছে আধুনিক, ফোক, রোমান্টিক, দেশাত্ববোধক ও বৈশাখের গান। তাজুল ইসলামের কথা ও সুরে গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের গুণী সঙ্গীত পরিচালক। খুব শিঘ্রই গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পবে বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেই সাথে শিল্পীর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল নওশীন মনযূর এ প্রকাশ পবে একাধিক গান।

এ প্রসঙ্গে নওশীন মনযূর এ খুদা বলেন, দেশের প্রতি আমাদের পরিবারের দায়বদ্ধতা আছে। মুলত এই কারণেই নানা ব্যস্ততার মাঝেও গান করে যাই। এই গান আমার আত্মার খোরাকও। ভালোলাগা, ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতাথেকেই গান করে যাই, গান করে যাবো। আমি আমার সকল শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা আমার গান ভালোবাসেন।