নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
বন্যার্তদের সচেতনতায় আলোর ফেরিওয়ালা
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন নবাবঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুড়া ইউনিয়নের বন্যার্ত মানুষের সচেতনায় দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’।
মঙ্গলবার ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বান্দুরা সাব জোনাল অফিস এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
পদ্মার পানিতে নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত। পুরো এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই দুর্ঘটনা রোধে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে বান্দুরা সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মো. আবুল কামাল এর নের্তৃত্বে নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু হয়। নৌকায় করে পানিতে নিমজ্জিত এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়।
এছাড়া বন্যা কবলিত প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে বিদ্যুৎ সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এসময় কেউ বিদ্যুতায়িত হলে খালি হাতে স্পর্শ না করা, বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার ছিঁড়ে গেলে এবং যেকোনও দুর্ঘটনার সংবাদ সাথে সাথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
এসময় জনসাধারণকে সচেতনভাবে চলাফেরা করার আহ্বান জানান পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা। পরে হরিরামপুর থানার গঙ্গারামপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে এবং ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন কর্মকর্তারা। ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা রোধে নানা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে বেড়িবাঁধ থেকে বারুয়াখালী বাজার পর্যন্ত সচেতনতার জন্য মাইকিং করা হয়।
গঙ্গারামপুর বাজারের ব্যবসায়ী আ. সালাম বলেন, বর্ষার প্রথম থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন আমাদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের পরামর্শ আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মিরাজ বলেন, বর্ষার অনেক সময় একটু ভুলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। সে অর্থে পল্লী বিদ্যুতের এমন কর্মসূচি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা হলেও বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছি ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মাধ্যমে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ যে কর্মসূচির আয়োজন করেছে তার জন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। এতে দুর্ঘটনা কমে যাবে বলে আমি মনে করি।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বান্দুরা সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ও এন্ড এম) মো. আবুল কামাল বলেন, আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে জয়কৃষ্ণপুর ও ধুলশুড়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তা ও জানমাল বৈদ্যুতিক র্দুঘটনা থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা প্রতিটি বাড়ি, বাজার ও স্কুলে ক্যাম্পেইন করেছি। মানুষজনকে সচেতন করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধ করাই আমাদের লক্ষ্য। এসময় বারুয়াখালী অফিসের ইনচার্জ, ওয়ারিং ইন্সপেক্টর ও কয়েকজন লাইন ক্রু উপস্থিত ছিলেন।
পিডিএসও/রি.মা