উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
দেশি গরুর দামে ধস : ভারতীয় গরু আমদানি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গতকাল শুক্রবার গ্যাস লাইন পশু হাটে দেশীয় গরু বাজারে দামে বেশ ধস দেখা দিয়েছে। এতে গ্রামের সাধারণ গরু পালনকারী ও খামারিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি হাটে ভারতীয় গরু আমদানিতে হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সাধারণ ক্রেতা কম সংখ্যক হাটে এসেছে। এছাড়া বড় মোকাম বাজারগুলোর গরু ব্যবসায়ীরা আসলেও এদের সংখ্যা কম বলে জানা যায়। এমনিতেই বন্যার কারণে তুলনা মূলকভাবে হাটটিতে কেনাবেচায় গরুর সংখ্যা কম ছিলো। গত ক’হাটের তুলনায় গতকালের হাটে গরুগুলোর দাম ক্রেতারা কম বলেছে। ক্রেতা সংখ্যা বেশি না থাকায় অনেকেই সুযোগ বুঝে দাম কম বলেছে বলে জানা গেছে। তালগাছির আতাব আলী বিক্রির জন্য চারটি দেশীয় গরু হাটে তুলেছিলেন। একটিও বিক্রি করেননি। দাম কম বলায় বিক্রি করেননি।
পুর্নিমাগাতী গ্রামের দেশীয় গরু পালনকারী সাধারণ গৃহস্থ আনছার আলী বলেন, গত হাটেও তিনি বিক্রির জন্য গরু তুললেও বিক্রি না করে ফেরত নিয়ে যান। আজকের হাটে সে গরুর দাম আরো দু থেকে তিন হাজার টাকা কম বলা হচ্ছে। এদিকে আজ গ্যাস লাইন হাটে উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক ভারতীয় গরু বিক্রিতে উঠেছিল। জানা গেছে, বিভিন্ন সীমান্ত হয়ে বৈধ ও অবৈধ দু’পথেই এসব গরু আমদানি করা হয়েছে। উল্লাপাড়া গ্যাস লাইন হাটের মালিক পক্ষের একজন আব্দুল মালেক বলেন, গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা আসলেও তাদের সংখ্যা কম ছিলো। হাটে গরু কেনাবেচা হয়েছে তবে খুবই দর কষাকষি করে।
এক ছাগলের দাম ৮০ হাজার: এদিকে সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া গ্যাস লাইন পশু হাটে গতকাল শুক্রবার এক ছাগলের দাম চাওয়া হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। বিদেশী জাতের ছাগলটি দেখতে উপচে পড়া ভিড় জমে থেকেছে। উল্লাপাড়া শ্যামপুর গ্রামের মানিক মিয়া প্রায় আড়াই বছর ধরে সিন্ধী জাতের পাঠা(পুরুষ) ছাগলটি লালন পালন করছেন। তিনি জানান এর বর্তমান ওজন ৬৪কেজি। আজ গ্যাস লাইন হাটে বেলা বারোটার দিকে বিক্রির জন্য ছাগলটি তোলেন।
পিডিএসও/মুস্তাফিজ
"