নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ মার্চ, ২০১৮

রফতানি আয় বাড়ছে পাট ও পাটজাত পণ্যে

বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় বেড়ে চলেছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পাট এবং পাটজাত পণ্য রফতানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৬৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটপণ্য রফতানির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ কোটি ১২ লাখ ডলার। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে কাঁচাপাট রফতানিতে আয় হয়েছে নয় কোটি ৫৫ লাখ ডলার, পাট সুতা ও কুণ্ডলী রফতানিতে আয় হয়েছে ৪১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি হয়েছে নয় কোটি ২৫ লাখ ডলারের এবং পাটজাত অন্যান্য পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে সাত কোটি তিন লাখ ডলার।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণে পিছিয়ে থাকায় পর্যাপ্ত পাট ও পাটপণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। তবে সরকার মানসম্মত পাট উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নীতি সহায়তার পাশাপাশি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে নগদ সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, রফতানিমুখী পাট পণ্য বহুমুখীকরণে নগদ সহায়তা বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। মানসম্মত পাটজাত পণ্য উৎপাদন হওয়ায় রফতানি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

বিজেএমসির চেয়ারম্যান জানান, ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশের জনগণ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের প্রতি সচেতন হওয়ায় সেখানে পাট পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এই চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ নতুন নতুন বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্য উৎপাদন করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে স্বদেশি পাটপণ্যের কার্যকর ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব কারণে পাট ও পাটপণ্য রফতানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো জানান, দেশের অভ্যন্তরে পাটের উৎপাদন বাড়াতে মানসম্মত বীজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেন কৃষকরা অন্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে লাভবান হতে পারেন। এতে তারা পাট উৎপাদনে আগ্রহী হবে এবং উৎপাদনও বাড়বে।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে মোট ২২টি পাটকল চালু রয়েছে এবং বেসরকারি খাতে প্রায় ২০০ পাটকল আছে। বাংলাদেশ বর্তমানে আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বেনিন, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, চিলি, চীন, কংগো, কোস্টারিকা, মিসর, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, জার্মানি, গোয়েতেমালা, হাইতি, ভারত, আয়ারল্যান্ড, ইরান, জাপান, জর্দান, কোরিয়া, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো, মায়ানমার, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব, সুদান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাইওয়ান, তাজাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, উগান্ডা, গুয়েতেমালা, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামে পাট ও পাটপণ্য রফতানি করছে।

"পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাট,পাটজাত পণ্য,রফতানি,আয়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist