নিজস্ব প্রতিবেদক
গবেষণা ও প্রশিক্ষণে শ্রমিক কোম্পানি উভয় লাভবান
পোশাক খাতে দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ ছাড়াও অনেক লুপ্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন
কারখানা মালিকদের নতুন পথ দেখাচ্ছে ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স ফর বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজ (সিবাই)’। পোশাক খাতের শ্রম পরিস্থিতি ও পণ্যের মান উন্নয়নে গঠিত এই সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি। রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে ‘স্টেকহোল্ডারস শেয়ারিং মিটিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রেড্ডি বলেন, সিবাইয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি অনেক কারখানা নিজস্ব উদ্যোগে এন্টারপ্রাইজ বেইজড ট্রেইনিং প্রকল্প চালু করেছে। এই উদ্যোগ একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ও শ্রমিকদের উপকারে আসছে। শ্রমিকরা যেমন উচ্চ বেতন পাচ্ছেন, মালিকরাও পাচ্ছেন মানসম্মত কাজ।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সুইডেন, আইএলও, আন্তর্জাতিক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম, বিজিএমইএসহ আরো পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে সিবাই। শ্রমিক প্রশিক্ষণ ও পোশাক খাত নিয়ে গবেষণা এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে রেড্ডি বলেন, নতুন নতুন কারখানা এই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে এলে সামগ্রিকভাবে পোশাক খাত লাভবান হবে বলে মনে করছেন রেড্ডি। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরো বলেন, আইএলও সিবাইয়ের শুরু থেকে এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে কোনো একক প্রতিষ্ঠান নয়, ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে এর পুরো দায়িত্ব নিতে হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে পুরো সেক্টরের পক্ষ থেকে ধারণ করতে হবে। তাহলেই এই প্রতিষ্ঠান টেকসই রূপ পাবে।
সিবাই সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক খাতে দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ ছাড়াও অনেক লুপ্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, বেতন কাঠামো অনেক সমৃদ্ধ হলেও বিভিন্ন সময় শ্রমিক অসন্তোষ ও অন্যান্য কারণে দেশে পোশাক খাতের ভাবমূর্তি এখনো বাড়েনি। তাই মেধাবী ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এদিকে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
"