নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ আগস্ট, ২০১৭

অর্থনীতিতে এখন বড় তিন চ্যালেঞ্জ

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি, বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার দুর্বলতাই হচ্ছে এখন বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় তিন চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের নিম্নমুখিতা, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিসহ আরও কিছু অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন দেশের অর্থনীতি। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বজুড়ে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ইউরোপীয় অর্থনীতির সমস্যা বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে রয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতিতে বেশ কিছু ইতিবাচক লক্ষণও রয়েছে।এর ফলে বাংলাদেশ উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে এগোচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বিশেষজ্ঞদের অভিমত উদ্ধৃত করে বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় উচ্চতর প্রবৃদ্ধির পথে এগোতে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে এসব সমস্যা উতরাতে হবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

আইসিসির মতে, বাংলাদেশ বর্তমানে কয়েকটি সমস্যা মোকাবিলা করছে। সমস্যাগুলো হচ্ছে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অযথা কালক্ষেপণ, চুক্তিসমূহ কার্যকর করার ক্ষেত্রে অযৌক্তিক বিলম্ব, ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান দুই প্রবেশপথ চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পণ্যজট। এসব কারণে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ বার্ষিক রেটিংয়ে বাংলাদেশ ১৯০টি অর্থনীতির মধ্যে ১৭৬তম অবস্থানে রয়েছে। অথচ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক ও সিরিয়া যথাক্রমে ১৬৫তম ও ১৭৩তম স্থানে আছে। সংগঠনটি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে এগোচ্ছে। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশে উঠেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩২টি বড় অর্থনীতির মধ্যে ৩১তম স্থান পেয়েছে। প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসের (পিডব্লিউসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৬২ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগামী ২০৫০ সালে ৩ লাখ ৬ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে। তখন বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতি।

সংগঠনটির মতে, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায়, অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার পূর্ব অংশের কেন্দ্রবিন্দু এবং দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আইসিসি বলছে, গত অর্থবছরে সরকারের অনেকগুলো ফাস্ট ট্র্যাক বা অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য ১৫০ কোটি ডলার তহবিল প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। রেললাইনটি যুক্ত হবে ট্রান্স-এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্কে। এর ফলে মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার উন্নত হবে। আর এটিই হবে এশিয়া মহাদেশে রেল খাতে এডিবির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist