নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ মার্চ, ২০১৯

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে অটোমেশন

বন্ড কমিশনারেটের সঙ্গে এনবিআরের বৈঠক আজ

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে বন্ডের আওতায় আমদানি করা পণ্যপাচার বা খোলাবাজারে বিক্রি বন্ধ করতে ‘বন্ড অটোমেশন প্রকল্প’ হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য আজ ও আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সঙ্গে বৈঠক করবে এনবিআর।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করা হচ্ছে। যারা বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এ সুবিধাকে আধুনিকায়ন বা অটোমেশন করা হবে। এ বিষয়ে গত সপ্তাহে একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। এ বিষয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এ জন্য সাইনেসিস নামে একটি আইটি ফার্মকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফার্মটি বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে বন্ড সুবিধা দেয়, সে বিষয়ে গবেষণা করে মতামত দেবে বলে জানান তিনি। জানা যায়, অসাধু চক্রের অপতৎপরতা মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় শিল্প-কারখানার মালিকরা বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।

জানা যায়, ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনারের নেতৃত্বে সাতটি প্রিভেনটিভ টিম মাঠে কাজ করছে। রাতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য জব্দ করা হচ্ছে। পরে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট-১৯৬৯, বন্ডেড ওয়্যারহাউস বিধিমালা ২০০৮’-এর আওতায় বিভাগীয় মামলা হয়। একইসঙ্গে তাদের বন্ডিং কার্যক্রম ও আমদানি-রফতানির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কিছুটা কমে গেছে।

জানা যায়, রফতানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলো পুনঃরফতানির শর্তে শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধায় পণ্য আমদানির সুযোগ পায়। এসব কাঁচামাল বা পণ্য সরকার-নির্ধারিত গুদামে (বন্ডেড ওয়্যারহাউস) রক্ষিত থাকে। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশে শুল্কমুক্ত পণ্য এনে অবৈধভাবে অপসারণের মাধ্যমে তা খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। বন্ড সুবিধায় আনা কাপড়, প্লাস্টিক দ্রব্য, কাগজপণ্য, ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট কার্ড, কার্ড বোর্ড, বৈদ্যুতিক পাখা, পেডিং (ব্লেজার বা জ্যাকেট তৈরির কাঁচামাল) ইত্যাদি দ্রব্য ও পণ্য ওয়্যারহাউসে যাওয়ার আগেই খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বন্ড সুবিধার পণ্য কালোবাজারে বিক্রি এবং চোরাকারবারি ঠেকাতে গত দেড় মাসে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ২৬টি ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৩০ কোটি টাকার অনিয়ম উদ্্ঘাটন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৬ হাজার ৫৬৫টি প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড লাইসেন্স থাকলেও অনিয়মের কারণে ১ হাজার ৭৫৭ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close